এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘স্বাস্থ্যসাথী কে দেবে পঞ্চায়েতগুলো না জিতলে!’ জনতাকে প্রশ্ন মমতার

নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ৮ জুলাই রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) ভোটগ্রহণের দিন। সেই দিনই ঠিক হয়ে যাবে রাজ্যের ১৯টি জেলা পরিষদের ৯২৮টি আসনে, ৩৪৩টি ব্লকের ৯ হাজার ২১৭টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে এবং ৩ হাজার ৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৩ হাজার ২৮৩টি আসনে কারা জিততে চলেছেন। অস্বীকার করার উপায় নেই সেই নির্বাচনে যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হোক না কেন জয়ের পাল্লা ভারী থাকবে তৃণমূলেরই(TMC)। বিরোধীরা যদি রাজ্যে কোনও জেলা পরিষদ দখল করে তাহলে তা অঘটন হিসাবেই চিহ্নিত হবে। আবার পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রেও বিরোধীরা বোর্ড গঠন করার মতো অবস্থায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা গঠন করতে পারবে কিনা সেটাও বড় প্রশ্ন হিসাবে উঠে আসবে। ঠিক এই রকম অবস্থায় শুক্রবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো এক মহার্ঘ্য প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন আমজনতার দিকে। ‘স্বাস্থ্যসাথী কে দেবে পঞ্চায়েতগুলো না জিতলে? স্বাস্থ্যসাথী কোথায় যাবে? কন্যাশ্রী-শিক্ষাশ্রী-ঐক্যশ্রীর ছেলে-মেয়েরা কোথায় যাবে?’

আরও পড়ুন ‘মানুষকে তাঁর অধিকার ফিরিয়েছি যা সিপিএম হরণ করেছিল’, দাবি অভিষেকের

শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপে শেষ হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচী। সেই কর্মসূচীতেই এদিন হাজির হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও(Mamata Banerjee)। সেই মঞ্চ থেকেই মমতা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন আমজনতার দিকে। তিনি বলেন, ‘কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে শিক্ষাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, ঐক্যশ্রী রাজ্যের চেহার বদলে দিয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী(Sasthasathi) কে দেবে পঞ্চায়েতগুলো না জিতলে? রাস্তা কে করবে? চাল বাড়িতে কে পৌঁছে দেবে? আমফান হলে উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরে কে নিয়ে আসবে? কন্যাশ্রী-শিক্ষাশ্রী-ঐক্যশ্রীর ছেলে-মেয়েরা কোথায় যাবে? পেনশন হোল্ডাররা কোথায় যাবেন? স্বাস্থ্যসাথী কোথায় যাবে? পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেস জিতলে আমাদের হাত, মানে জোড়াফুলের হাত শক্তিশালী হবে। কিছু কিছু লোক কাজ করে না। তাদের জন্য এবার আমরা নতুন সিস্টেম করছি। আমরা নিজেরা নজরদারি করব। আমি নিজেও দেখি। যেখানে যা কাজ বাকি আছে, সেগুলিও আগামীদিনে করে দেওয়া হবে। যেটুকু বাকি আছে, আমার ওপর ছেড়ে দিন। আমি করে দেব। যদি কেউ কোথাও কিছু না পেয়ে থাকেন, তাঁরা আমাকে সরাসরি জানাবেন। আমি নিজে প্রতি সপ্তাহে দেখে নিই, কার কী প্রয়োজন আছে।’

আরও পড়ুন ‘এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন এর আগে কখনও হয়নি’, দাবি মমতার

অস্বীকার করার উপায় নেই যে, তৃণমূলের প্রতি আমজনতার সমর্থনের পিছনে একটা বড় কারণ হিসাবে থেকে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা আর্থসামাজিক প্রকল্পগুলি। কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে কৃষকবন্ধু, স্বাস্থ্যসাথী থেকে খাদ্যসাথী, সবুজসাথী থেকে গতিধারা, জয় জোহর থেকে জয় বাংলা, ইমাম ভাতা থেকে পুরোহিত ভাতা, ঐক্যশ্রী থেকে মেধাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড থেকে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, বাংলার আমজনতার বেঁচে থাকার যন্ত্রণা অনেক কমিয়ে দিয়েছে। বিরোধীরা বার বার এই সব প্রকল্পগুলিকেই আক্রমণ করে যাতে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও এটা নিশ্চিত যে বাংলার বুকে তৃণমূল যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন বাংলার মানুষ এই সব প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। আর সেটা বুঝেই এদিন মমতা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন আমজনতার দিকে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে অমিত শাহকে খোঁচা চন্দ্রিমার

দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে ,পৌঁছে যাবে ৪০ ডিগ্রির ঘরে

মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে ফের নালিশ তৃণমূলের

একই দেহে ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করে নয়া রেকর্ড গড়ল এসএসকেএম

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অভিজিতের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওড়িশি নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণের অভিযোগের রিপোর্ট জমা পড়েছে নবান্নে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর