এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কেষ্টহীন কেষ্টর জেলায় কেষ্টময় নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি আছেন আবার নেইও। আদতে তিনি না থেকেও তাঁর জেলায় তিনি রয়ে গিয়েছেন বেশ ভাল ভাবেই। হ্যাঁ এটা সত্যি যে এবারের তাঁর অনুপস্থিতিতে জেলার কোথাও খড়গ হাতে উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়নি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) পরিসংখ্যান বলছে, তাঁর অনুপস্থিতিতেও ছবি খুব একটা বদলায়নি। জেলার ৫টি পঞ্চায়েত সমিতি আর ৫০টি পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে তৃণমূল(TMC)। আর এই জয় এসেছে তাঁরই সর্বত্র অবস্থানের হাত ধরেই। তিনি শ্রী কেষ্ট। মানে অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondol)। জেলা তৃণমূলের সভাপতি। এখন তাঁর নিবাস সুদূর দিল্লির(Delhi) বুকে, তিহার জেলে(Tihar Jail)। এই প্রথম তাঁর অনুপস্থিতিতে কোনও নির্বাচন হচ্ছে বীরভূমের বুকে। তবুও তিনি যে জেলাজুড়ে রয়ে গিয়েছেন সেটা বলে দিচ্ছে এই পরিসংখ্যান। কেষ্টহীন কেষ্টর জেলায় কেষ্টময় নির্বাচন। 

আরও পড়ুন নওশদকে গ্রেফতারের পথে রাজ্য, দায়ের খুনের অভিযোগ

১৯টি ব্লকের জেলা বীরভূম। প্রতিটি ব্লকে আছে একটি করে পঞ্চায়েত সমিতি। এর মধ্যে বোলপুর, ইলামবাজার, লাভপুর, নানুর ও সিউড়ি-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে ঘাসফুল শিবির। তবে এই ৫টি সমিতির সব আসনে জেতেনি তৃণমূল। সংখ্যাগরিষ্ঠতার হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েত সমিতিগুলি দখল হলেও বেশকিছু আসনে ভোট হবে। তবে ভোটের আগেই এই ফলাফলে বিরোধীরা অনেকখানি ব্যাকফুটে চলে গেল। তাই বিরোধী দলগুলির দাবি, ‘২০১৮সালের মতো ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করেই তৃণমূল গণতন্ত্রকে হত্যা করল! এর ফল মিলবে লোকসভা ভোটে।’ তবে বিরোধীরাও অস্বীকার করছেন না যে এই কেষ্ট তিহারে থাকলেও কার্যত তিনি জেলার সর্বত্রই উপস্থিত। তাঁর ছত্রছায়াতেই পঞ্চায়েতের ভোট হচ্ছে বীরভূমে।

আরও পড়ুন রাজ্যের স্পর্শকাতর ৬ জেলায় বাড়তি নজরদারি কমিশনের

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর মহকুমার ৪টি ব্লকে প্রার্থীর অভাবে পঞ্চায়েত সমিতির ৯৭ শতাংশ আসন ও পঞ্চায়েতে ৯০শতাংশ আসনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। নানুরের পঞ্চায়েত সমিতির ৩৩টি আসনের মধ্যে মাত্র ৩টিতে ভোট হবে। পঞ্চায়েতের ২০৬টি আসনের মধ্যে ভোট হবে মাত্র ১৬টিতে। একইভাবে ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতির ২৭টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয় এসে গিয়েছে। পঞ্চায়েতে ১৫৬টি আসনের মধ্যে মাত্র ২৬টিতে ভোট হবে। লাভপুরের ছবিটাও একইরকম। পঞ্চায়েত সমিতির ৩২টি আসনের মধ্যে ৩১টিতেই তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। পঞ্চায়েতে ১৮৮টি আসনের মধ্যে ৩টিতে ভোট হবে। বোলপুরের পঞ্চায়েত সমিতিও শাসকদলের পকেটে এসে গিয়েছে। মাত্র ৯টি আসনে ভোট হবে। একমাত্র রাইপুর সুপুর পঞ্চায়েতে বিরোধীরা থাকায় ভোট হবে। অর্থাৎ বোলপুর মহকুমার মোট ৪০টি পঞ্চায়েতের ৩৯টিতেই সহজ জয় হাসিল করে নিল তৃণমূল। সিউড়ি-২ পঞ্চায়েত সমিতির পাশাপাশি ৬টি পঞ্চায়েত আসনই সংখ্যাগরিষ্ঠতার হিসেবে দখল করে নিয়েছে শাসকদল।

আরও পড়ুন পঞ্চায়েত ভোটে নয়া নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

এছাড়াও দুবরাজপুরের লোবা, পদুমা ও যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের দখলে এসেছে। ২০আসনের যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সবকটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তাঁরা। পদুমা পঞ্চায়েতের ১৯টি আসনের মধ্যে ১৭টিতে বিরোধী প্রার্থী না থাকায় জয়লাভ করেছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। ওই পঞ্চায়েতের ১৭নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনে স্ক্রুটিনিতে তৃণমূল প্রার্থীর নাম বাদ পড়ে। হিসেবমতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী লক্ষ্মী মুর্মু। মঙ্গলবার তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে লক্ষ্মীকে নিজেদের দলের বলে দাবি করেন দুবরাজপুর ব্লকের তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্যরা। ওই আসনে সিপিএমের যিনি ছিলেন, মঙ্গলবার মনোনয়ন তুলে নেন। আবার রামপুরহাট মহকুমার মাড়গ্রাম-১, মাড়গ্রাম-২ পঞ্চায়েতও শাসকদলের দখলে এসেছে। তবে জেলা পরিষদের ৫২টি আসনেই এবার লড়াই হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিলেই সমর্থন, সিএএ নিয়ে কড়া বার্তা অভিষেকের

লকেটের বিরুদ্ধে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব রচনা

দুর্গাপুরে দিলীপবাজি রুখতে তৃণমূলের অস্ত্র শিল্প-কৃষির মেলবন্ধন

১৫ মে’ র পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা কমবে, বাড়বে অস্বস্তিকর গরম

‘একটা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথের ছবি দিচ্ছে উল্টো করে’, মমতার কটাক্ষে অস্বস্তিতে বিজেপি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর