এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিজেপির ‘গোপন বোঝাপাড়া’ সংখ্যালঘু এলাকায়, তবুও ভোট তৃণমূলকেই

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) ফলাফল কার্যত সামনে চলে এসেছে পূর্ণাঙ্গ ভাবেই। দেখা যাচ্ছে, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে তৃণমূলের(TMC) চূড়ান্ত দাপট বহাল থাকলেও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে কিছুটা হলেও খাতা খুলেছে বিরোধীরা। রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে হাজার ১২ আসন তাঁদের দখলে গিয়েছে। যদিও তৃণমূলের সেই সংখ্যাটা ৫০ হাজারের ওপরে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বাম(Left) ও কংগ্রেস(INC) যে সব এলাকায় ভাল ফল করেছে তা মূলত সংখ্যালঘু এলাকা(Minority Area)। সেই সঙ্গে এটাও দেখা যাচ্ছে ওই সব এলাকায় বিজেপি(BJP) আবার প্রার্থীই দেয়নি। আর তার জেরেই কার্যত সামনে চলে এসেছে বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির ‘গোপন বোঝাপাড়া’র বিষয়টি। কার্যত অনেকেই মনে করছেন, নিজের নাক কেটে তৃণমূলের যাত্রাভঙ্গের পরিকল্পনা নিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু যাদের রাস্তা পরিষ্কার করতে চেয়েছিল তারাও হোঁচট খেল। সংখ্যালঘু এলাকায় ‘গোপন বোঝাপাড়া’ থাকলেও দেখা যাচ্ছে বাংলাজুড়ে অন্তত ৮০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট গিয়েছে তৃণমূলের বাক্সেই। সেখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি বাম, কংগ্রেস বা আইএসএফ(ISF)।

আরও পড়ুন আরও বেশি ধান করে কৃষকদের থেকে ধান কিনবে মমতার সরকার

বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট কোনদিকে গিয়েছে তা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দেখতে পাচ্ছেন, তৃণমূল যে ভোটে বলীয়ান সেই সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করার ছক কষেছিল বিজেপি। সেই জন্য দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, বীরভূম, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই দিনাজপুর এবং কোচবিহার জেলায় অসংখ্য সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বুথে বিজেপি প্রার্থীই দেয়নি। ওই সব বুথের মধ্যে মূলত মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় বেশ কিছু আসনে জয়ী হয়েছে বাম কংগ্রেস। আরও স্পষ্ট করে বললে বলতে হয় কংগ্রেস। আর তাতেই প্রমাণিত হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) মুখে যে বার বার ‘রাম-বাম-শ্যাম’ জোটের কথা শোনা যায় সেটিই বাস্তবায়িত করা হয়েছিল পঞ্চায়েত ভোটে। তবে সেই ষড়যন্ত্রে সামিল হননি বাংলার সংখ্যালঘু মানুষজন। তাঁরা আস্থা রেখেছেন মমতার ওপরেই। আস্থা রেখেছেন তৃণমূলের ওপরে। তাই অঘোষিত রাম বাম শ্যামের জোট মালদা ও মুর্শিদাবাদের কিছু এলাকা বাদে আর কোথাও সেভাবে কোনও ছাপই ফেলতে পারেনি।

আরও পড়ুন Provident Fund নিয়ে বড় পদক্ষেপ রাজ্যের

ওয়াকিবহল মহলের মতে, বিজেপি জানে তাদের সংখ্যালঘু ভোট পাওয়া মুশকিল। তাই তারা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অধিকাংশ বুথে ‘ইচ্ছে করেই’ প্রার্থী দেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি। এছাড়াও তাঁদের সংখ্যালঘু মুখ খুঁজে পাওয়াও কষ্টের। ফলে বিজেপির প্রার্থী না থাকায় সেই সব আসনে তৃণমূলের সঙ্গে কেবল লড়াই হয় বাম-কংগ্রেস জোটের। বিজেপির ধারণা ছিল, এই সংখ্যালঘু ভোট তাদের ঝুলিতে না এলেও যদি কংগ্রেস কিংবা বামে যায় তা যথেষ্ঠ ইঙ্গিতপূর্ণ হবে লোকসভার আগে। উল্টো দিকে দেখা যায়, জেলায় জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে এমন বেশ কিছু আসন আছে, যেখানে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী দেয়নি। কিন্তু ফলাফল? সংখ্যালঘু ভোটে ফাটল ধরানোর চাল কার্যসিদ্ধ হয়নি। গ্রাম বাংলার সংখ্যালঘু মানুষজন ঢেলে ভোট দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীদেরই। বিজেপি যেভাবে NRC, CAA নিয়ে লম্ফঝম্ফ করছে, যেভাবে শীতলকুচিতে একুশের ভোটে ইচ্ছাকৃত ভাবে ও বিনা কারণে সংখ্যালঘু মানুষজনকে গুলি করে মেরেছে, যেভাবে রাজ্যের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় BSF সংখ্যালঘু মানুষদের গুলি করে মারছে তা দেখে বাংলার সংখ্যালঘুরা আর বাম, কংগ্রেস বা আইএসএফের হাত শক্ত করার পথে হাঁটেনি। তাঁরা দেখেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে শুধুমাত্র তৃণমূল। তাই তাঁরা তৃণমূলের পাশেই থেকেছেন যা লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের কাছে বড় ভরসা হয়ে থেকে যাচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

স্মৃতিচারণ থেকে কটাক্ষ, উনিশের সংঘর্ষ থেকে বন্দুকের কারখানা, নোয়াপাড়ায় ছুঁয়ে গেলেন মমতা

মঙ্গলবার গঙ্গাধর মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

‘চিংড়ি পটল, চিংড়ি মালাইকারি খাবেন, আমি নিজে রেঁধে খাওয়াবো’, মোদিকে আমন্ত্রণ মমতার

ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার আগে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু, হেলিপ্যাড পরিদর্শনে উচ্চ পদস্থ কর্তারা

‘বিজেপি বড়জোর ১৯৫টা আসন পাবে’, বনগাঁ থেকে ভবিষ্যৎবাণী মমতার

‘বিজ্ঞাপনের জন্য আমার নাম ব্যবহার করছে বিজেপি’, দাবি মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর