এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মমতার ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে বড়সড় পরিবর্তন, লাভবান হবেন ক্ষুদ্র কৃষকেরা

নিজস্ব প্রতিনিধি: পাখির চোখে কৃষকের উন্নয়ন। সেই লক্ষ্যেই ২০১৯ সালে ‘কৃষকবন্ধু’(Krishak Bandhu) প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। রাজ্যের এই প্রকল্পে উপভোক্তার(Consumers) সংখ্যা এখন ৯৮.২১ লক্ষ। যদিও রাজ্যের কৃষি দফতরের আধিকারিকদের দাবি, চলতি বছরে দুর্গাপুজোর আগেই এই সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। কেননা সামনের সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকেই রাজ্যজুড়ে চালু হচ্ছে সপ্তম দুয়ারে সরকার(Duyare Sarkar) কর্মসূচী। সেখানে অনেকেই এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন জানাবেন। আর তার জেরেই দুর্গাপুজোর আগেই বাংলার কৃষকবন্ধু প্রকল্পের উপভোক্তার সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই রকম আবহেই এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তন আনছে রাজ্য সরকার যার দরুণ রাজ্যের ক্ষুদ্র কৃষকেরা(Small Farmers) লাভবান হতে চলেছেন।

বাম জমানায় বাংলার কৃষিজমিতে বর্গাদারদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। সেই সূত্রেই বাংলার কৃষিজমি এখন ছোট ছোট জমিতে ভাগ হয়ে গিয়েছে যা দেশের অন্য কোনও রাজ্যে দেখা যায় না। শুধু তাই নয়, এই কৃষিজমির ওপর ভর দিয়েই গ্রামবাংলার আর্থসামাজিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে যাকে বামফ্রন্ট সরকার চরম অবজ্ঞা করেছিল সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়ে। জমির সঙ্গে কৃষকের সম্পর্ক ও জমির ওপর ভর দিয়ে গড়ে ওঠা গ্রামবাংলার আর্থসামাজিক পরিকাঠামোকে শেষের দিকে আর দাম দিতে চায়নি বামফ্রন্ট সরকার। তাঁরা গায়ের জোরে, রাষ্ট্রক্ষমতার জোরে কৃষকের জমি তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নিতে চেয়েছে। আর তার জেরে গ্রামবাংলা থেকে তো বটেই শহুরে ভোটারদের কাছ থেকেও ধাক্কা খেয়ে বিদায় নিয়েছে ৩৪ বছরের একটা সরকার। বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জমি আন্দোলনের মাধ্যমেই বাংলার ক্ষমতায় এসেছেন। তাই তিনি খুব ভালই বোঝেন জমির সঙ্গে কৃষকের কী সম্পর্ক। আর তাই তাঁর সরকার যেমন রাজ্যে কোথাও জোর করে কৃষকের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণের পথে হাঁটেনি, তেমনি জোর দিয়েছে জমিকে কেন্দ্র করেই বাংলার কৃষকদের আয় বাড়াতে।

সেই সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রী ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের সূচনা ঘটান। এখন এই প্রকল্পে নথিভুক্ত কৃষকেরা ১ একরের কম জমি থাকলে দুই ধাপে পান বছরে ৪ হাজার টাকা এবং ১ একরের বেশি জমি থাকলে বছরে দুই দফায় ১০ হাজার টাকা করে পান। কিন্তু দেখা যাচ্ছিল, বাংলায় ছোট ছোট জমির কৃষকের সংখ্যা বেশি হওয়ার জন্য অধিকাংশ কৃষকই ৪ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য পাচ্ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী এই ছবিতে বদল ঘটাতে চেয়েছিলেন বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। নতুন নিয়মে ঠিক করা হয়েছে, কোনও কৃষকের ১ একর জমি থাকায় তিনি যদি বছরে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে ৪ হাজার টাকা করে পান তাহলে নতুন নিয়মে তাঁর পরিবার বছরে ১২ হাজার টাকা করেও পেতে পারে। কীভাবে? ওই ১ একর জমির মালিকানা পরিবারেরই ৩জনের মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে। ফলে জমির পরিমাণ না বাড়লেও পরিবারের ৩ জনের মাধ্যমে ৪ হাজার টাকা করে বছরে ১২ হাজার টাকা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পাওয়া সুনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ এই নতুন নিয়মে আগামী দিনে সব থেকে বেশি লাভবান হতে চলেছেন বাংলার ক্ষুদ্র কৃষকেরা। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পরবর্তী দু’দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ছে, জানালেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক

১৯ মে নাগাদ আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করছে বর্ষা: আবহাওয়া দফতর

অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে ভরে ভোট আটকানো যাবে না, প্রমাণ করল জনতা: শতাব্দী রায়

লেশমাত্র টেনশন নেই, ভোটের দিন দেদার নিজস্বী তুলে সময় কাটালেন মহুয়া

নদিয়ায় ইভিএম বিভ্রাট, সব ভোট নাকি পড়ছে বিজেপিতে, তুমুল উত্তেজনা দিনভর

স্মৃতিচারণ থেকে কটাক্ষ, উনিশের সংঘর্ষ থেকে বন্দুকের কারখানা, নোয়াপাড়ায় ছুঁয়ে গেলেন মমতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর