নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল বিজেপি। তবে বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে সরকারের প্রস্তাবের আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারে বিজেপি। মঙ্গলবার (২৯ অগস্ট) নবান্নে সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেপির হাজির না থাকা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে বিধানসভার আলোচনায় অংশ নেবে বিজেপির পরিষদীয় দল। বক্তব্য রাখতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি ভোটাভুটিও চাইতে পারেন তিনি।
মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভা ঢুকব। সেখান থেকে মিছিল করে রাজ্যপালের কাছে আসব।’’ ফলে হট্টগোল সৃষ্টির পরিকল্পনাতেই বিজেপির এই ছক কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ৭ই সেপ্টেম্বর বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করার কথা জানিয়েই দিয়েছিলেন। নবান্নের সভাঘরে থাকা নাগরিকসমাজ একযোগে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন দেশভাগের অসহনীয় জ্বালা নিয়ে ক্ষতবিক্ষত এই দিন কখনই বাঙালির দিবস হতে পারেনা। এদিকে এই দিনটিকেই পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পালন করতে নাছোড়বান্দা বিজেপি।
শুভেন্দু অধিকারী আবার এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী সকল মানুষের জন্যেই ২০ জুনের তাৎপর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৪৭ সালে আজকের এই দিনেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বাংলার আইনসভা আমাদের এই রাজ্যকে ভারতবর্ষের অঙ্গরাজ্য হিসাবে নির্ধারিত করার সপক্ষে রায় দিয়েছিলেন।’’
চলতি বছরের ২০ জুন রাজ্যপাল দিল্লির নির্দেশে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে এমন দিন পালন না করার কথা বলেছিলেন। ফোনেও রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজ্যপালের বক্তব্য ছিল, রাষ্ট্রপতির নির্দেশে তিনি এই দিন পালন করছেন। উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় আইন পরিষদে অখণ্ড বাংলাভাগের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। বাংলা ভাগের সঙ্গে বহু মানুষের ক্ষতবিক্ষতের আর্তনাদও রয়েছে। তাই রাজ্যের শাসকদল ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনে সম্মত নয়। অন্যদিকে নাগরিক সমাজের একাংশের অভিমতও একই। অন্যদিকে গেরুয়া শিবির একটি কালো অধ্যায়কে স্বীকৃতি দিতে উঠেপড়ে লেগেছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।