এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

গঙ্গারামপুরে মোমবাতির চাহিদা, হাসি ফুটেছে মোমবাতি নির্মাতাকারীদের

নিজস্ব প্রতিনিধি,দক্ষিণ দিনাজপুর: হাতে গোনা মাত্র আর কয়েকদিন ।এরপরই আধার কাটিয়ে আলোর দেবীর উৎসবে মেতে উঠবে ৮ থেকে ৮০ সকলেই। ১২ নভেম্বর কালী পুজো। তার আগেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপু(Gangarampur)র হাই স্কুল পাড়া এলাকায় মোমবাতি কারখানায় ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে।বিদেশি পণ্য বর্জন করে দেশীয় পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষজন। স্বাভাবিকভাবেই এবছর দীপাবলিতে মোমবাতির কদর বেড়েছে। মোমবাতির(Candel) চাহিদা দেখে দিনরাত কাজ করে চলেছেন গঙ্গারামপুরের মোমবাতি প্রস্তুতকারকরা।

বর্তমানে গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছোনোর পাশাপাশি বাজারে টুনি বাল্ব চলে আসায় দীপাবলিতে মোমবাতির কদর যথেষ্টভাবে কমে যায়। ফলে চরম সমস্যায় পড়েন গঙ্গারামপুরের মোমবাতি প্রস্তুতকারকরা। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় বেশ কয়েকটি মোমবাতি তৈরির কারখানাও। হাতে কয়েকটি কারখানা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কোনওমতে চলছিল। কিন্তু এবছর দীপাবলির আগে বিদেশি পণ্য বর্জন করে দেশীয় পণ্য ব্যবহারের ঝোঁক দেখা দেওয়ায় আশার আলো দেখছেন মোমবাতি নির্মাতারা। তাই দিনরাত এক করে মোমবাতি তৈরির কাজ চলছে গঙ্গারামপুরের বসাকপাড়ার,হাইস্কুলপাড়ার কারখানাগুলিতে। এই বিষয়ে ওই কারখানার এক মোমবাতি নির্মাতার দাবি, “কিছুটা হলেও পরিস্থিতি বদলেছে। তাই এবার দিপাবলিতে লাভের মুখ দেখতে পারেন বলে আশা করছেন তাঁরা”। এ বিষয়ে গঙ্গারামপুর বসাকপাড়ার মোমবাতি কারখানার কর্ণধার তেজস কুমার বসাক জানান, ” বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের বাজারে মোমবাতির তৈরীর প্যারাফিনের দাম বেড়েছে অনেক। যার ফলে মোমবাতির দামও কিছুটা অংশে বাড়ানো হয়েছে।

প্রাকৃতিক নিয়মে আমাদের এখানে মোমবাতি প্রস্তুত করা হয়। সারা বছরই মোমবাতি তৈরি হয় তবে কালীপুজোর আগে আগে ব্যস্ততা শুরু হয়েছে যথেষ্ট। দিন রাত এক করে নাওয়া খাওয়া ভুলে মোমবাতি তৈরির ব্যস্ততায় মেতে উঠেছে কর্মরত ২০ জন মোমবাতি নির্মাতাকারী। তিনি এ বিষয়ে আরো জানান, দক্ষিণ দিনাজপুর সহ তিন জেলা অর্থাৎ উত্তর দিনাজপুর, মালদা সহ পুরো রাজ্যে গঙ্গারামপুরের এই মোমবাতি সাপ্লাই হয় ও বিক্রি হয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের মোমবাতি আছে রঙিন মোমবাতি থেকে শুরু করে সাদা মোমবাতি ছোট বড় বিভিন্ন প্রকারের বিভিন্ন দামের মোমবাতি তৈরি করা হয়। দিনে মোট ২০০ পেটি মোমবাতি রোজ তৈরি করা হয় বলে জানান কর্ণধার তেজস কুমার বসাক। তিনি আরো জানান, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের বাজারে বিদেশী পণ্যের ভিড়েও মানুষ মোমবাতির দিকে ঝুঁকছে কালীপুজোর(Kali Pujo) আগে তাই আমাদের কারখানায় মোমবাতি তৈরীর ব্যস্ততা চলছে যথেষ্ট তুঙ্গে, সারাবছর লাভের আশা খুব একটা না থাকলেও এবছর লক্ষীর ভার পূর্ণ হবে বলে আশায় বুক বাঁধছে মোমবাতি নির্মাতাকারীরা।

আর যে কারণে মুখে হাসি ফুটেছে মোমবাতি কারখানার কর্ণধর সহ নির্মাতা কারীদের। গঙ্গারামপুর শহরের হাই স্কুল পাড়া বসাকপাড়া এলাকাতে এ বছর মোমবাতির যথেষ্ট চাহিদা থাকায় কালী পুজোর আগে মুখে হাসি ফুটেছে, মোমবাতি কারখানার নির্মাতা কারীদের। বলাই বাহুল্য, আধার কাটিয়ে আলোর উৎসবে এই মোমবাতি নিয়েই মেতে উঠবে আট থেকে ৮০ সকল মানুষ সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাবাসি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভোটের ডিউটিতে পুলিশ কর্মীদের সাম্মানিক চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব

লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হলে হাতা- খুন্তির লড়াই, হুঁশিয়ারি মমতার

মালদায় পুলিশি অভিযানে উদ্ধার ২৮ কোটির মাদক, ৩২ লাখ টাকা, গ্রেফতার ১

মহিলাদের অপমান করেছে বিজেপি, সন্দেশখালি নিয়ে সুর চড়ালেন অভিষেক

কনে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে শিলিগুড়িতে গাড়ি উল্টে মৃত্যু দু’জনের,আহত অন্তত ২৮

বহরমপুরের কিছু বুথে পুনরায় ভোটের দাবি কংগ্রেসের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর