নিজস্ব প্রতিনিধি: সংসদে পথ আলাদা। জাতীয় রাজনীতিতে তাল ঠোকাঠুকি চলছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এক সুর মেলালো তৃণমূল ও কংগ্রেস। হাওড়ার গর্ব আরতি কটন মিলকে বাঁচাতে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি দিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এই একই ইস্যুতে পীযূষ গোয়েলকে চিঠি দিয়েছেন হাওড়ার সাংসদ তথা প্রাক্তন খেলোয়াড় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৭ নভেম্বর বস্ত্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এই একই ইস্যুতে গত ৩০ নভেম্বর পীযূষ গোয়েলকে চিঠি দিয়েছেন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনের দাবি হাওড়ার গর্ব দাশনগরের আরতি কটন মিলকে বাঁচাতে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করুক।
ন্যাশনাল টেক্সটাইল কর্পোরেশন লিমিটেডের আওতায় দেশ জুড়ে ২৩টি কটন মিল আছে। তার মধ্যে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গের ২২টি কটন মিল দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। দাশনগরের আরতি কটন মিল পুরোপুরি বন্ধ না হলেও তা এখন ধুঁকছে। যে কোনও দিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই এই ঐতিহ্যশালী কটন মিলকে বাঁচাতে কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি প্রসূন ও অধীরের। বর্তমানে ওই কারখানাটিতে ৪৪৮ জন শ্রমিক কাজ করছেন। হাতেগোনা কিছু শ্রমিক স্থায়ী কর্মী হলেও বাকিরা ঠিকাদারের অধীনস্থ। দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল এই কটন মিল। ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সাহায্যে আরতি কটন মিল খুললেও এখন ১৫ দিনের কাজ করেন শ্রমিকরা। মাইনেও পান অর্ধেক। তাই কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ হলেই ফের স্বমহিমায় ফিরবে আরতি কটন মিল।
হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই মিল খোলা নিয়ে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আবার বৈঠক হবে। আরতি কটন মিলের গতি বাড়াতে বস্ত্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে দিল্লি যাবেন হাওড়ার শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।