নিজস্ব প্রতিনিধি: তারকাদের অভিনয় থেকে রাজনৈতিক প্রাঙ্গণে নাম লেখানোর গল্পটা অনেক পুরনো। কেউ কেউ অভিনেতা থেকে হয়েছেন নেতা, আবার জনপ্রতিনিধি হয়ে কেউ কেউ গিয়েছেন সংসদে। যেমন আগামী ৭ জানুয়ারী বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। এবার সংসদের সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী হয়েছেন ঢালিউডের একাধিক তারকা। যাঁদের মধ্যে আছেন, ফেরদৌস, মাহিয়া মাহি, হিরো আলম-সহ একাধিক তারকা। তবে সেখানে এতদিন নামটা শোনা যায়নি নায়িকা অপু বিশ্বাসের। কিন্তু এবার সংসদের সদস্য হওয়ার জন্যে ইচ্ছে প্রকাশ করলেন অপু নিজেই। এই মূহুর্তে অপু বিশ্বাস আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ফেরদৌসের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত।
যিনি ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছেন। সংসদের সদস্য হওয়ার প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস নিজেই জানিয়েছেন, তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত আসন থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। এবারও মনোনয়নপত্র কিনবেন। তবে যদি মনোনয়ন পান, তাহলে নারীদের জন্যে কাজ করবেন তিনি। তিনি যেহেতু আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেন, তাই সংরক্ষিত আসনের জন্যে তিনি মনোনয়ন চান। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই আসনের জন্যে তিনিই একমাত্র উপযুক্ত। এর আগে সংসদ সদস্য হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে অপু জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে তার একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁর মতে, নারীদের তুলে ধরতে একজন নারীর প্রয়োজন। যেমনটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, গতবছর লন্ডনে শাকিব খানের সঙ্গে অপু বিশ্বাসের ঘোরাঘুরি নিয়ে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল। সবাই ভেবে নিয়েছিলেন যে, অভিনেত্রী আবারও শাকিবের জীবনে ফিরে যাচ্ছেন। শাকিবের সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল ২০১৮ সালে। তার কিছু দিন পরেই নায়িকা বুবলী কে গোপনে বিয়ে করেছিলেন শাকিব। তাঁদের একটি ছেলেও আছে। তবে বুবলীর সঙ্গেও থাকেন না শাকিব। কিন্ত দুই ছেলের দায়িত্বই সমানভাবে পালন করেন নায়ক। যদিও অপু বিশ্বাস কখনই শাকিবের কাছে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবেননি। উল্টে তিনি বলেছিলেন, তিনি আর দ্বিতীয় বিয়ে করবেন না। এদিকে সদ্য নতুন প্রযোজনা হাউস লঞ্চ করেছেন অপু। ২০২৪ সালেই অনেকগুলি ছবির প্রযোজনার দায়িত্ব নিতে পারেন অপু।