নিজস্ব প্রতিনিধি : অর্থনৈতিকভাবে বেহাল দশা পাকিস্তান হকি ফেডারেশনের। সম্প্রতি একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে জানা যাচ্ছে হকি ফেডারেশনের সদর দফতরের কর্মীরা ছয় মাস মাইনে পাচ্ছেন না। পাশাপাশি তাঁরা সবরকমের মেডিক্যাল সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারেও আগামী ছয় মাস যাবৎ বঞ্চিত। একইসঙ্গে যেসব হকি খেলোয়াড়রা রয়েছেন তাঁরাও নাকি টাকা পাননি।
পাকিস্তান হকি ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে, গত ছয় মাস পাকিস্তান হকি ফেডারেশনের একাধিক কর্মী কোনও মাইনে পাননি। একইসঙ্গে করাচিতে যে ফেডারেশনের আরেকটি অফিস রয়েছে, সেথানকার কর্মীরাও কোনও মাইনে পাননি। জানা গিয়েছে, ফেডারেশনের যে ৮০ জন কর্মচারীরা রয়েছেন তাঁরা গত ছয় মাস যাবৎ কোনও মেডিক্যাল সুবিধাও পাননি।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয়, ওমানে অলিম্পিকের বাছাইপর্বের যে খেলা হচ্ছে, তাতে অংশগ্রহণ করা সত্বেও পাকিস্তান হকি খেলোয়াড়রা গত চার মাস ধরে চুক্তি অনুযায়ী টাকা পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে পাকিস্তান হকি দলের অধিনায়ক ইমাদ শাকিল ভাটের ঝামেলাও হয়েছে। ইমাদ রীতিমতো হুমকির সুরেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে না দিলে আগামীদিন তাঁরা পাকিস্তানের হয়ে কোনও ম্যাচ খেলবেন না।
এদিকে পাকিস্তান বোর্ডের এই বেহাল দশা নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে ফেডারেশনের কর্তাদের মধ্যে। ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি খালিদ সাজ্জাদ গোটা অব্যবস্থার জন্য বর্তমান হকি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টকে দায়ী করেছেন। তবে কেন যে হকি ফেডারেশন আর্থিক বেহাল দশা ভুগছে, সেবিষয়টি অবশ্য স্পষ্ট নয়। জানা গিয়েছে, আর্থিক মন্দা দশা থাকা সত্বেও ফেডারেশনের টাকা আটকে রাখেনি পাকিস্তান সরকার। যেহেতু ফেডারেশনের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ এসেছে, তাই সেই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।