আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ় দেওয়ার পরামর্শ দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বিশেষ করে বার্ধক্য বা কোনও শারীরিক অসুস্থতায় দুর্বল ব্যক্তিদের এবং যাঁরা ইনঅ্যাকটিভেটেড ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের আগে বুস্টার ডোজ় দেওয়ায় ব্যাপারে জোর দিয়েছে হু। যদিও আগে থেকেই কিছু দেশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজ চালু করে দিয়েছে। সেটা নিয়ে প্রথমে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবার তাঁরাও একই পথে হাঁটল।
করোনার নয়া স্ট্রেইন ওমিক্রন আসার আগেই বিশ্বের বহু দেশ টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছিল। মূলত বয়স্ক ও শারীরিকভাবে দর্বলদের এই করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। সে সময় এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিল হু। তাদের বক্তব্য ছিল, বিশ্বের একাংশ যখন টিকাহীন অবস্থায় রয়েছে, তখন ধনী দেশগুলো এই তৃতীয় ডোজ কোন আক্কেলে দিচ্ছে। কিন্তু এরপরই ধাক্কা মারে করোনার নয়া স্ট্রেইন ওমিক্রন, এখনও ডেল্টার কামর কমেনি। এই জোড়া ধাক্কায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরতে বাধ্য হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সম্প্রতি হু-র ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজ়রি গ্রুপ অব এক্সপার্টস’ (সেজ)-এর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, যাঁরা শারীরিক ভাবে দুর্বল এবং যাঁরা ইনঅ্যাকটিভেটেড ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হোক। উল্লেখ্য, হু-র ইনঅ্যাকটিভেটেড ভ্যাকসিনের তালিকায় রয়েছে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনও।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিশেষ করে প্রবীণ ব্যক্তিদের মধ্যে করোনার টিকার কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পরই টিকার কার্যকারিতা কমতে শুরু করেছে। কারণ প্রবীণদেরই সর্বপ্রথম টিকা দেওয়া হয়েছিল। এখন তাঁদের শরীরেই টিকার প্রভাব কমতে শুরু করেছে। ফলে দুটি টিকার ডোজ নেওয়ার পরও অনেকে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই তৃতীয় তথা বুস্টার ডোজের পক্ষে সাওয়াল করছেন বিশেষজ্ঞরা।