নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের ৪টি পুরনিগমের নির্বাচনের দিনক্ষন ঘোষণা করে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই চার পুরনিগম হল বিধানননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি। তবে হাওড়া পুরনিগম নিয়ে কমিশন এদিন কিছু ঘোষণা করেনি। অর্থাৎ বিশ বাঁও জলে ঝুলেই রইল হাওড়ার পুরনির্বাচন। কমিশন এদিন জানিয়েছে, আগামী ২২ জানুয়ারি বিধানননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়িতে ভোটগ্রহণ করা হবে। ২৪ তারিখ হতে পারে প্রয়োজনানুসারে পুনর্নির্বাচন। ২৫ তারিখ হবে ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা। এদিন থেকেই তাই এই চারটি পুরনিগমে লাগু হয়ে গেল আদর্শ আচরণবিধি।
কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী এটা পরিষ্কার যে ওই ৪টি পুরনিগমে ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়ছে না। আগে যা ওয়ার্ড সংখ্যা ছিল সেটাই এবারেও রাখা হচ্ছে। সেই হিসাবে বিধাননগরের ৪১টি ওয়ার্ডের জন্য, চন্দননগরের ৩৩টি ওয়ার্ডের জন্য, আসানসোলের ১০৬টি ওয়ার্ডের জন্য এবং শিলিগুড়িতে ৪৭টি ওয়ার্ডের জন্য ভোট নেওয়া হবে। বিধাননগরে ভোটার থাকছেন ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৪০জন। সেখানে বুথের সংখ্যা থাকছে ৪৬৮টি ও ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকছে ১৯৪টি। চন্দননগরে মোট ভোটার সংখ্যা থাকছে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৩৯ জন। সেখানে বুথের সংখ্যা থাকছে ১৬৯ ও ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকছে ৬০টি। আসানসোলে ভোটার থাকছেন ৯ লক্ষ ৪২ হাজার ৮৮ জন। সেখানে বুথের সংখ্যা থাকছে ১ হাজার ২০টি ও ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকছে ৪৮০টি। শিলিগুড়িতে ভোটার থাকছেন ৪ লক্ষ ২ হাজার ৮৯৫জন। সেখানে বুথের সংখ্যা থাকছে ৪২১টি ও ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকছে ১৫০টি। এই চারটি পুরসভা ক্ষেত্রেই অবশ্য নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন না। অর্থাৎ আগামী জানুয়ারি মাসে ভোটার তালিকায় যাদের নাম নতুন ভোটার হিসাবে উঠবে তাঁরা ভোট দিতে পারবেন না।
এই ৪টি পুরনিগমের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে আগামিকাল থেকেই। মনোনয়ন দাখিলের প্রক্রিয়া চলবে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই সময়ে রবিবার ও ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। ৪ জানুয়ারি হবে মনোনয়নগুলির স্ক্রটিনি। মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ দিন ৬ জানুয়ারি। চার পুরনিগমের এই নির্বাচনে প্রতিটি বুথে থাকবে সিসিটিভি। তবে এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসা হবে কিনা তা আগামিকাল পুলিশের সঙ্গে বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। তবে হাওড়া পুরনিগমে নির্বাচন না করানোর বিষয়ে এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস জানিয়েছেন, রাজ্যপাল হাওড়ার বিল নিয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেননি। রাজ্য সরকারও কমিশনকে হাওড়া নিয়ে কিছু জানায়নি। তাই কমিশনও এই বিষয়ে তড়িঘড়ি করে কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। যদিও এদিন সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইট করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছেন হাওড়ায় ২০১৫ সালের মতোই সেখানকার ৬৬টি ওয়ার্ডে নির্বাচন করাতে। কমিশন অবশ্য এদিন সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।