নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু: পকেটে মাত্র দশ টাকা। আর সেই সামান্য পুঁজি নিয়ে কৃষক কেম্পাগৌড়া গিয়েছিলেন মাহিন্দ্রার শোরুমে। যাওয়ার উদ্দেশ্য সংস্থার তৈরি বলেরো পিক-আপ ট্রাক কেনার। শোরুমে সেলসম্যানকে সে তাঁর ইচ্ছার কথা জানায়। কেম্পাগৌড়ার রেস্তর জোর জানতে চাইলে সে সেলসম্যানকে জানায়, পকেটে মাত্র ১০ টাকা রয়েছে।
ওই উত্তর শুনে সেলসম্যান তাঁকে দু-চার কথা শুনিয়ে দেয়। এই ক্ষেত্রে কী ধরনের উত্তর হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। ধরা যেতে পারে, ওই সেলসম্যান হয়তো বলেছিলেন-লজ্জা করে না! মাত্র দশ টাকা পকেটে নিয়ে বলেরো কিনতে এসেছেন। আর এই ঘটনার কিছুক্ষণ বাদে যা ঘটল, তা ওই সেলসম্যানের গালে তো বটেই, কার্যত সংস্থার মালিকের মুখে সপাটে চড় কষিয়ে দিল।
লজ্জায়, চরম অপমানে কেম্পাগৌড়া বাড়ি ফেরার আগে সেলসম্যানকে বলে, সে যদি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে টাকা নিয়ে আসতে পারে, তাহলে কোম্পানি সঙ্গে সঙ্গে ট্র্যাক্টর ডেলিভারি করতে পারবে তো?
কিছুক্ষণ বাদে বস্তাভর্তি টাকা নিয়ে শোরুমে হাজির অপমানিত অন্নদাতা কেম্পাগৌড়া ও তার সঙ্গীরা। টাকাভর্তি থলে দেখে সেলসম্যানের চোখ চড়কগাছে। এই শীতে সে দরদর করে ঘামতে শুরু করে। ভাবতেও কৃষক এই কাণ্ড ঘটাতে পারে। শোরুমের সেই সেলসম্যানকে কৃষকের পাল্টা প্রশ্ন – এবার ট্র্যাক্টর ডেলিভারি করুন। নিয়ম অনুসারে গাড়ি বুক করার চারদিনের মাথায় ডেলিভারি দিতে হয়। সেলসম্যান নানাভাবে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে। শোরুমে তখন হৈহৈ কাণ্ড। পরে ওই সেলসম্যান জোরহাতে ক্ষমা চেয়ে নেন।