নিজস্ব প্রতিনিধিঃ করোনার করাল থাবা যখন একটু একটু করে মুক্ত হচ্ছে ভারত টিক তখনই বিশ্বের অন্যান্য দেশে করোনার ফের বাড়বাড়ন্ত। চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, জাপান ইউরোপ এবং এশিয়ার একাধিক দেশেই ফের শুরু হয়েছে করোনার তাণ্ডব। প্রতিবেশী দেশ চিনেই প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নতুন করে এই ভাইরাসের কবলে পড়ছে। দক্ষিণ কোরিয়াতে তো আবার এই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই লক্ষের ঘরে পৌঁছেছে। আর তাই বিশ্বের করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে আগেভাগেই নতুন করোনার নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার দোলযাত্রা তথা হোলির আনন্দে যখন মাতোয়ারা গোটা দেশ ঠিক তখনই নতুন নির্দেশিকা দিয়ে রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রের অনুরোধ এখনই করোনার বিধিনিষেধ তুলে না নেওয়ার।
জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপ জুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে যেন তারা তাদের করোনার বিধিনিষেধ এখনই শিথিল না করে। এছাড়াও আরও একবার করোনা পরীক্ষা, ট্র্যাক, চিকিত্সা, কোভিড-উপযুক্ত আচরণ অনুসরণের কথাও মনে করিয়ে দিয়ে সমস্ত করোনা বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ ইতিমধ্যেই করোনা নিয়ে সতর্ক করার জন্য সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে চিঠি দিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, ‘রাজ্যগুলিকেও নিশ্চিত করতে হবে যে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) দ্বারা জারি করা প্রোটোকল অনুসারে সেন্টিনেল সাইটগুলির মাধ্যমে INSACOG নেটওয়ার্কে পর্যাপ্ত সংখ্যক নমুনা জমা দেওয়া হচ্ছে কিনা, যা INSACOG-এর জন্য নোডাল এজেন্সি, পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণের সাথে সাথে করোনার নতুন রূপগুলিকে সময়মতো সনাক্ত করে নিশ্চিত করবে। ICMR দ্বারা নির্ধারিত প্রোটোকল মেনেই পরীক্ষা করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। নতুন কেসগুলির উপর নজরদারি করে নিয়ম মেনে পরীক্ষা করা এবং ILI ও SARI কেসগুলির উপর নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে কোনও আগাম সতর্কতা বুঝতে অসুবিধা না হয় এবং সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।’
উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপের কিছু দেশ জুড়ে COVID-19 কেস বৃদ্ধির ফলে গত ১৬ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়ার সভাপতিত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল যেখানে রাজ্যগুলিকে আক্রমণাত্মক জিনোম সিকোয়েন্সিং, নিবিড় নজরদারি এবং সামগ্রিক সতর্কতার উপর আরও জোর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এরপরেই করোনা সতর্কতা বজায় রাখতে দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে করোনা সতর্কতায় চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর।