নিজস্ব প্রতিনিধি: কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে গিয়ে মৃত্যু হল এই রাজ্যের ৫ পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Workers)। জানা গিয়েছে, গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও ৪ জন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ব্যক্তিরা এই রাজ্যের কি না তা জানা যায়নি। তবে মৃতরা সকলেই এই রাজ্যের দেগঙ্গার বাসিন্দা। এই খবর পাওয়ার পরেই তৎপর হয়ে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে কর্ণাটকের মুখ্য সচিবের সঙ্গে। রাজ্য সরকার দুঃখ প্রকাশ করে ঘোষণা করেছে বিশেষ ক্ষতিপূরণ। বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলে কর্ণাটক রাজ্য সরকারকে বলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
উত্তর চব্বিশ পরগণার ৫ যুবকের মৃত্যু হয়েছে কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুর দক্ষিণ কান্নাড়া জেলায়। সেখানেই দিন মজুরের কাজ করতেন তাঁরা। রবিবার ওই ৫ যুবক গিয়েছিলেন ম্যানহোল পরিষ্কার করতে। জানা গিয়েছে, সেই সময় ম্যানহোলের ভেতরে গ্যাস থেকে আগুন জ্বলে যায়। তা থেকেই ঘটে বিস্ফোরণ। আরও জানা গিয়েছে, প্রথম জন নিচে নামার পর অনেকক্ষণ উপরে উঠে না আসায় বাকি ৮ জন স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করতে নামেন ম্যানহোলে। এঁদের মধ্যে ৫ মৃত্যু হয় বিষাক্ত গ্যাসে। মৃতদের নাম মিরাজুল ইসলাম, নিজামুদ্দিন সাহাজি, ওমর ফারুক, সামিউল ইসলাম ও সরাফত আলী।
তাঁদের মৃত্যুর খবর পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন রবিবার রাতে। এরপরেই দেগঙ্গা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে কান্না ও শোকের ছায়া। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার জেলা পরিষদের বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ একে এম ফারহাদ। গুরুতর অবস্থায় ম্যানহোলে নামা আরও ৪ জনের। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এই ঘটনায় বিচলিত। ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে কর্ণাটক রাজ্য সরকারের সঙ্গে। ওই বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঘোষণা করেছে, মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারকে দেওয়া হবে ২ লক্ষ টাকা করে। এই রাজ্যের মুখ্যসচিব কথা বলেন কর্ণাটকের মুখ্যসচিবের সঙ্গে। রাজ্যে দেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।