নিজস্ব প্রতিনিধি: দিন কয়েক আগে রাজ্যের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৪০। পশ্চিমের একাধিক জেলায় সতর্কতা জারি করেছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছিল, খুব প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত না বেরানোর। এই পরিস্থিতিতে ২ মে থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে (School) ২ মে থেকে ছুটি ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রীষ্মের ছুটির মেয়াদ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমতি।
এই ছুটির বিরোধিতা করেছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক। বলেছিলেন, উত্তরবঙ্গে গরমের প্রভাব নেই। তাই এখানে এত ছুটির প্রয়োজন নেই। পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, রাজ্যে বেশিরভাগ জেলায় গ্রীষ্মের প্রভাব রয়েছে। ২-৩ টে জেলায় তা নেই বলে সরকারি বিজ্ঞপ্তি আলাদা আলাদা জারি হতে পারে না। তারপর অবশ্য হয়েছে কালবৈশাখী।
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, গ্রীষ্মের ছুটি (Summer Vacation) এবারে ৪৫ দিনের। মামলাকারীদের দাবি, করোনার জন্য প্রায় ২ বছর বন্ধ ছিল বিদ্যালয়। এতে ক্ষতি হয়েছে পড়ুয়াদের। আবার গ্রীষ্মের ছুটিতে এক টানা ৪৫ দিন ছুটিতে থাকলে পড়ুয়াদের ক্ষতি হবে আরও। এই কারণ দেখিয়েই ছুটির মেয়াদ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, আদালতে এই আবেদন জানিয়ে মামলাকারী সংগঠন তুলে ধরেছে কেরল সরকারের কথা। কারণ এখানে ১০ দিন কমানো হয়েছে গ্রীষ্মের ছুটির মেয়াদ। সূত্রের খবর তুলে ধরা হয়েছে ওড়িশা সরকারের সিদ্ধান্তও। আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার।
উল্লেখ্য, ২ মে থেকেই পড়েছে গ্রীষ্মের ছুটি। আর এই ছুটির মধ্যেই পড়ুয়াদের অনুরোধে পরীক্ষা নিয়েছে তমলুকের রাত্নালী আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক- অভিভাবিকাদের দাবি মেনেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। যদিও সরকারি নিষেধাজ্ঞার অভিযোগ উঠে এসেছে। তবে পাল্টা স্কুলের তরফে দাবি, সরকারি নির্দেশ মত ২ মে থেকেই ছুটির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে পড়ুয়া ও অভিভাবক– অভিভাবিকাদের দাবি ছিল বাকি যে পরীক্ষা রয়েছে, তা নিয়ে ছুটি দেওয়া হোক গ্রীষ্মের। তাই ২ মে অংক ও ভূগোল পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরপরে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। স্কুলের তরফে জানানো হয়, এই কারণেই রত্নালী বিদ্যালয়ে ছুটি দেওয়া হয়েছে আগামী ৩ মে থেকে।