নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা: ফেসবুকে লাগাতার উত্যক্ত করছিল এক যুবক। ওই যুবকের হাত থেকে বাঁচতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল কলেজ ছাত্রী। কিন্তু সাহায্য চাইতে গিয়ে পুলিশেরই এক ইন্সপেক্টরের ধর্ষণের শিকার হতে হল। সঙ্কটজনক আবস্থায় আপাতত খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি ওই ছাত্রী। অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও রবিবার রাত পর্যন্ত অভিযুক্ত পুলিশ ইন্সপেক্টরকে গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনার পরেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত। তবে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের খবর জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
খুলনা থানার ওসি হাসান আল মামুন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ডুমুরিয়ার বাসিন্দা নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীকে গত কয়েক দিন ধরেই ফেসবুকে উত্যক্ত করছিল এক যুবক। সামাজিক মাধ্যমের সূত্রেই খুলনার পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এক ইন্সপেক্টরের সঙ্গে দিন পাঁচেক আগেই ওই কলেজ ছাত্রীর পরিচয় হয়েছিল। তার কাছেই নির্যাতিতা সাহায্য চান। আজ রবিবার দুপুরে ওই কলেজ ছাত্রীকে সাহায্যের জন্য ডেকে পাঠান।
পুলিশ ইন্সপেক্টরের কথায় বিশ্বাস করে নির্যাতিতা এদিন তার সঙ্গে দেখা করে। কলেজ ছাত্রীকে নিয়ে ছোট মির্জাপুরের কাগজী হাউসে নিয়ে যান পুলিশ আধিকারিক। তার পরে সেখানেই ধর্ষণ করেন। কোনও ক্রমে নরপিশাচের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে খুলনা থানায় গিয়ে ঘটনার কথা জানায় কলেজ ছাত্রীটি। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযুক্তের সন্ধানে ঘটনাস্থলেও গিয়েছিল পুলিশ। যদিও ততক্ষণে উধাও হয়ে গিয়েছে অভিযুক্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর।