আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলতি বছরের ২১ মার্চ চিনের ওঝৌউ শহরের কাছে বিমান ভেঙে পড়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩২ জন। ভেঙে পড়া বিমানের উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাক বক্স থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিমান ভেঙে পড়া কোনও দুর্ঘটনা নয়। বরং অন্তর্ঘাত। ইচ্ছাকৃতভাবেই ভেঙে পড়া বিমানকে নির্দিষ্ট উচ্চতার চেয়ে দ্রুত গতিতে নিচে নামিয়ে আনা হয়েছিল। তবে কেন পাইলট শতাধিক মানুষের প্রাণকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে ওই কাজ করলেন, তা পরিস্কার নয়। পাইলট করেছেন নাকি তাঁকে কেউ করতে বাধ্য করেছিলেন, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও এ বিষয়ে ভেঙে পড়া বিমানটির প্রস্তুতকারী সংস্থা বোয়িং কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
গত ২১ মার্চ স্থানীয় সময় বেলা একটা ১০ মিনিট নাগাদ ১২৩ যাত্রী ও নয় বিমান ক্রু নিয়ে কুনমিং থেকে গোয়াংঝোর উদ্দেশে রওনা হয়েছিল চিনের ইস্টার্ন প্যাসেঞ্জার এয়ারলাইন্সের জেট বিমানটি। তিনটে পাঁচ মিনিট নাগাদ গন্তব্যে পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু দুপুর ২টো ২২ মিনিটের পর থেকে বিমানটির গতিবিধি আর ট্র্যাক করা যায়নি। পরে জানা যায় গোয়াংঝো পৌঁছনোর আগে ওঝৌউ শহরের কাছাকাছি জঙ্গল ঘেরা পাহাড়ে ভেঙে পড়ে বিমানটি। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছিল, ভেঙে পড়া বিমানটি দাউ দাউ করে জ্বলছে। ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা সব যাত্রী ও ক্রু প্রাণ হারিয়েছিলেন।
দুর্ঘটনার পরেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ভেঙে পড়া বিমানের ব্ল্যাক বক্স। আর সেই ব্ল্যাক বক্সে সংরক্ষিত কথোপকথনের রেকর্ড থেকে জানা গিয়েছে, বিমানটি ভেঙে পড়া নিছক দুর্ঘটনা নয়। বরং অন্তর্ঘাত। কিন্তু কে বা কারা ওই অন্তর্ঘাতের পিছনে জড়িত, তা এখনও জানা যায়নি।