আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের কারণে যখন রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস কেনা কমিয়ে দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলি, তখন উল্টোপথে হাঁটছে চিন। রীতিমতো দর কষাকষি করে আন্তর্জাতিক বাজার দরের চেয়ে ২৯ ডলার কম দাম প্রতি ব্যারেল তেল কিনছে চিন। চলতি মাসে রাশিয়া থেকে প্রতিদিন ১১ লক্ষ ব্যারেল তেল আমদানি করছে শি চিনফিংয়ের দেশ। আর সস্তায় তেল কেনার ফলে চিনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির মুনাফা রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ‘রয়টার্স’ এর প্রতিবেদন আনুযায়ী, ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করায় পশ্চিমী দেশগুলি রাশিয়া থেকে তেল কেনা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। ফলে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের তেল উৎপাদককারী সংস্থাগুলি। অথচ মার্কিন ও পশ্চিমী দেশগুলি যে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে, সেই নিষেধাজ্ঞার মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে তেল ও গ্যাসের রফতানি বাণিজ্য রুশ শীর্ষ নেতাদের বড় হাতিয়ার। তাই ইউরোপের দেশগুলির নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার পরেই বন্ধু দেশগুলিকে সস্তায় তেল বেচার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর সেই সুযোগই কাজে লাগাচ্ছে চিন।’
সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘রাশিয়া থেকে পশ্চিমী দেশগুলি তেল কেনা বন্ধ বা কমিয়ে দেওয়ায় যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণ করছে চিনের দুই সংস্থা ইউনিপেক ও ঝেনহুয়া অয়েল। ইউনিপেক হল এশিয়ার সর্ববৃহৎ তেল পরিশোধনকারী কোম্পানি সিনোপেক করপোরেশনের শাখা। আর ঝেনহুয়া দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান নরিনকোর সহযোগী। এছড়া হংকংয়ের লিভনা শিপিং লিমিটেডও তেল কিনে চলেছে। চলতি মাসে গড়ে প্রতিদিন রাশিয়া থেকে ১১ লাখ ব্যারেল তেল কিনছে বেজিং। অথচ চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে গড়ে সাত লক্ষ ব্যারেল তেল কিনেছিল শি চিনফিংয়ের দেশ। গত বছর গড়ে প্রতিদিন ৮ লক্ষ ব্যারেল তেল আমদানি করেছিল। নিষেধাজ্ঞার কথা জেনেও যেভাবে চিন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে, তাতে ক্ষুব্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ইউরোপীয় দেশগুলি।’