নিজস্ব প্রতিনিধি: সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩ জুন সিঙ্গুরে(Singur) পা পড়তে চলেছে বাংলা তথা ভারতের জমি আন্দোলনের নেত্রী, বাংলার অগ্নিকন্যা, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee)। সেদিন তিনি সিঙ্গুরের বাজেমেলিয়ার দেবী সন্তোষীর মন্দিরে পুজো দেবেন। সেই সঙ্গে সিঙ্গুর থেকেই কামারকুন্ডু(Kamarkundu) উড়ালপুলের(Flyover) উদ্বোধন করবেন তিনি। পাশাপাশি অনুমান করা হচ্ছে সেদিন হুগলি জেলা(Hooghly District) ভাগ নিয়েও বার্তা দিতে পারেন তিনি। নজর থাকবে সিঙ্গুরের জমি নিয়ে নতুন করে কোনও বার্তা তিনি দেন কিনা তা নিয়েও। নজর থাকবে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও। পাশাপাশি সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গুরের প্রাক্তন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ছোট ছেলে তুষার ভট্টাচার্য সেদিন তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই সফর ঘিরে এখন হুগলি জেলা তৃণমূলে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর প্রস্তুতি।
জানা গিয়েছে, সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনের সময় বাজেমেলিয়ার দেবী সন্তোষীর মন্দিরে যেতেন তদানীন্তন বাংলার বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তাঁরই উদ্যোগে মন্দিরের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়। এবার সেই মন্দিরেই আগামী ৩জুন পুজো দিতে আসছেন মমতা। সঙ্গে তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্যও উপস্থিত থাকতে পারেন। একইসঙ্গে সেদিন বাজেমেলিয়া থেকেই রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে কামারকুণ্ডুর উড়ালপুলও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই উড়ালপুল উদ্বোধনের জেরে বৈদ্যবাটী-তারকেশ্বর জেলা সড়কে কামারকুন্ডু এলাকায় রেলের লেবেল ক্রশিংয়ে নিত্যদিন যে যানজট হত তা আর হবে না। সেই সঙ্গে সবথেকে বেশি লাভবান হবেন শেওড়াফুলি ঘাট থেকে তারকেশ্বরে জল ঢালতে যাওয়া পূণ্যার্থীরাও। একই সঙ্গে কমবে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও। এর আগে ওই লেবেল ক্রশিংয়ে একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে ও তাতে প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটেছে। সেই আশঙ্কা এবার বন্ধ হতে চলেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সিঙ্গুর সফরে অনেকেই মনে করছেন হুগলি জেলা ভাগ নিয়ে কোনও বার্তা উঠে আসতে পারে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ মহকুমার সঙ্গে জাঙ্গিপাড়া, হরিপাল, তারকেশ্বর, ধনিয়াখালি ব্লক নিয়ে পৃথক একটি জেলা গড়ার বিষয়ে সেদিন বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে দলকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কিছু বার্তাও দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। কেননা এই সিঙ্গুর থেকেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের বিজেপি ১৫ হাজারেরও বেশি ভোটে লিড তুলেছিল। যদিও একুশের ভোটে তৃণমূল সেখানে প্রায় ২৬ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছে। অর্থাৎ বিজেপি উনিশের ভোটে যে পরিমাণ লিড তুলেছিল প্রায় তাঁর দ্বিগুণ লিডে তৃণমূল জেতে একুশের ভোটে। সেই লিড ধরে রেখে যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিঙ্গুরের মাটি থেকে বিজেপিকে নির্মূল করা যায় সেই লক্ষ্যে বার্তা দিতে পারেন মমতা।