নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় টানা দ্বিতীয় দিন জেরার মুখে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি IRahul Gandhi)। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের প্রথম দফায় সাড়ে চার ঘণ্টা জেরা শেষে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ইডি (Enforcement Directorate) দফতর থেকে বের হলেন তিনি। এ নিয়ে দু’দিনে তিন দফায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের (ED) সাড়ে চৌদ্দ ঘন্টা জেরার মুখে পড়লেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি (Former Congress President)।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোমবার দু’দফায় ইডি আধিকারিকরা টানা দশ ঘণ্টা জেরা করেছিলেন রাহুলকে। ওই জেরা শেষ হওয়ার পরে ফের মঙ্গলবার তাঁকে তলব করা হয়। ইডির তলব পেয়ে এদিন সকাল এগারোটা সাত মিনিট নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের সামনে হাজির হন তিনি। প্রথম দফায় টানা সাড়ে চার ঘন্টা ধরে জেরা চলে। পরে মধ্যাহ্নভোজনের জন্য প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রথম দিনের জেরায় বেশ কিছু প্রশ্নের সদুত্তর না দেওয়ায় এদিন ফের ওয়ানাডের কংগ্রেস সাংসদকে তলব করা হয়েছে।
এদিনও অবশ্য রাহুলকে জেরার প্রতিবাদে রাজধানী দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা সহ দলের একাধিক শীর্ষ নেতা। কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই রাহুলকে জেরার নামে মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছে ইডির আধিকারিকরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশেই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে হেনস্তা করা হচ্ছে।