নিজস্ব প্রতিনিধি: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ইংরেজিতে পাশ নম্বর তুলতে পারেনি। তার পর পাশের দাবিতে আন্দোলনে সামিলও হয়েছিল। এবার সেই ব্যর্থতার কারণে আত্মহত্যা করল শম্পা হালদার নামে মালদহের এক ছাত্রী। ইতিমধ্যে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের হবিবপুর থানার ডুবাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শম্পা হালদার ২০২২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল। কিন্তু গত ১০ তারিখে ফল প্রকাশের পর দেখা যায় ইংরেজি পরীক্ষায় তার যা নম্বর উঠেছিল তা পাশ নম্বর ছুঁতে পারেনি। এর পর পাশের দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছিল সেই আন্দোলনে সামিল হয় সে। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। আর সেই কারণে অপমানে শনিবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই পড়ুয়া।
১৭ বছর বয়সী শম্পা হালদার হবিবপুরের আরএন রায় গার্লস স্কুলে পড়ত। সেই স্কুল থেকে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সে। ২০২২ সালে ওই স্কুল থেকে মোট ১৮০ জন পড়ুয়া পরীক্ষায় বসেছিল। তার মধ্যে ৮০ জন পড়ুয়া পরীক্ষায় পাশ করে। বাকি বেশিরভাগ পড়ুয়া পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর অকৃতকার্য পড়ুয়ারা পাশ করানোর দাবিতে আন্দোলন করে। মালদহের বুলবুলচণ্ডী এলাকায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তারা। সম্প্রতি জেলা শিক্ষা দফতরও ঘেরাও করে ওই পড়ুয়ারা। তাদের আন্দোলন নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন ব্যক্তি সমালোচনাও করেছিল। এর মাঝে শনিবার সকালে ওই ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। ইতিমধ্যে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। মৃত ছাত্রীর বাবা কুশি হালদার জানান, পরীক্ষায় ফেল করার কারণে অপমানে মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার কারণে অপমানে ওই পড়ুয়া এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।