এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

গুরুং ভোট না দিলেও পাহাড়ের বুথে ভিড় আমজনতার

নিজস্ব প্রতিনিধি: এক দশক বাদে জিটিএ(GTA) নির্বাচন হচ্ছে দার্জিলিংয়ের(Darjeeling) পাহাড়ে। বেশ শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে সেই নির্বাচন(Election)। তবে সেই নির্বাচনে নেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, জিএনএলএফ ও বিজেপি। লড়াইয়ের ময়দানে আছে অজয় এডওয়ার্ডের(Ajay Edward) হামরো পার্টি, অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, তৃণমূল, সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস। আছেন বেশ কিছু নির্দল প্রার্থীও। কার্যত এই ভোটই ঠিক করে দিতে চলেছে পাহাড়ে আগামী ৫ বছরে ক্ষমতার রাশ ঠিক কার হাতে থাকবে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে বিমল গুরুংয়ের(Bimal Gurung) রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। এদিন দুপুর ৩টা পর্যন্ত ৫২ শতাংশ ভোট পড়েছে পাহাড়ে। অনুমান করা হচ্ছে শেষপর্যন্ত ৬০ শতাংশের আশেপাশে থাকতে পারে পাহাড়ে ভোট প্রদানের হার। তবে ঘটনা যে, গুরুং এদিন ভোট দেননি। নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলকে ভোট দেওয়ার আবেদন বা হুইপও জারি করেননি তিনি। তবুও পাহাড়ের জনতা কিন্তু বুথমুখো হয়েছেন।   

এদিন গুরুং ভোট দিতে না গেলেও জানিয়েছেন, ‘আমি নিজে ভোট দেব না। কিন্তু কোনও ব্যক্তির গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে বাধাও দিতে পারি না। তবে ভোটের খোঁজখবর নেব। আমি চাই শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন হোক।’ গুরুংয়ের এই বক্তব্যের জেরে অনেকেই মনে করছেন তিনি কার্যত রাজনীতি থেকে হয়তো ধীরে ধীরে স্বেচ্ছা নির্বাসনের পথেই হাঁটা দেবেন। কেননা তিনি আর কোনও বনধ বা হিংসাত্মক আন্দোলন করতে চান না। আসলে তিনি বুঝে গিয়েছেন পাহাড়ের জনতার কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। তাঁর অনশন যে পাহাড়ের বুকে ছিঁটেফোটা কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি সেটা বেশ বুঝেছেন তিনি। আর তাই না দিয়েছেন ভোট বয়কটের ডাক, না জারি করেছেন কোনও হুইপ নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলকে ভোট দেওয়ার জন্য। আসলে গুরুং এটা বুঝে নিতে চাইছেন, জিটিএ নির্বাচনকে পাহাড়ের মানুষ কী চোখে দেখছে। তাঁরা জিটিএ’র স্বপক্ষে নাকি পৃথক রাজ্যের পক্ষে।

আর এখানেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে গুরুং ভোট না দিলেও, মোর্চা, জিএনএলএফ ও বিজেপি ভোটে লড়াই না করলেও আমজনতা কিন্তু জিটিএ নির্বাচন নিয়ে রীতিমত উৎসাহী। সেই কারণেই পাহাড়ের বুথে বুথে ভোটারদের ঢল নেমেছে। আত এই ঢলই কার্যত বলে দিচ্ছে পাহাড়ের মানুষ আর কোনও বনধ চায় না। আর কোনও হিংসাত্মক আন্দোলন চায় না। আর কারও মৃত্যু চায় না। চায় শান্তি আর উন্নয়ন। সেই সঙ্গে এক নতুন নেতা যে আগামী দিনে পাহাড়কে স্থিতাবস্থা, শান্তি ও উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে পারবেন। অনেকেই মনে করছেন অজয় এডওয়ার্ড কার্যত সেই আসন এবার দখল করতে পারেন। তাঁর দল হামরো পার্টি আগেই দার্জিলিং পুরসভা দখল করেছে। জিটিএ তাঁদের দখলে গেলে নিঃসন্দেহে তিনিই হয়ে উঠবেন পাহাড়ের সব থেকে ক্ষমতাবান নেতা। তাই গুরুংয়ের সামনে স্বেচ্ছা নির্বাসন নেওয়া ভিন্ন দ্বিতীয় কোনও রাস্তাও আর খোলা নেই। পাহাড়ের অনেকেই অবশ্য মনে করছেন, গুরুং বা মোর্চা সরাসরি ভোটে লড়াই না করলেও তাঁদের প্রত্যক্ষ সমর্থন রয়েছে অজয় এডওয়ার্ডের দিকে। যদি সেটাই সত্যি হয় তাহলে আগামিদিনে পাহাড়ের রাজনীতিতে গুরুং-এডওয়ার্ড যুগলবন্দী দেখা গেলে অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘আজ না হয় কাল এর বদলা আমি নেবই নেব’, তমলুকে হুঙ্কার মমতার

‘গদ্দার’ রথীনকে আবারও হারিয়ে প্রসূণকে দিল্লি যাত্রার ছাড়পত্র দিতে প্রস্তুত হাওড়া

তাপপ্রবাহের সতর্কতার সঙ্গে বর্ষা নিয়ে সুখবর দিল হাওয়া অফিস 

শান্তনুর যাত্রাভঙ্গের আশায় প্রহর গুণছেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের ক্ষুব্ধ ভোটাররা

তৃণমূল কর্মীর  রহস্যমৃত্যু, গোসাবায় ছড়িয়ে উত্তেজনা

তীব্র দাবদাহের জেরে রাস্তায় নামানো হচ্ছে বাড়তি এসি বাস, নয়া পদক্ষেপ সরকারের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর