নিজস্ব প্রতিনিধি: সেকি কাণ্ড! বউ হয়ে গেল মেয়ে, মানছি বরের বয়সটা একটু বেশি। কিন্তু তা বলে স্বয়ং মেয়ে বানিয়ে দেবেন, এর থেকেও বেশি চমকপ্রদ ব্যপার, পাত্রের মা মেয়ে দেখতে এসেছিলেন অন্য কারুর। কিন্তু তাঁকে না দেখেই অরিন্দমের স্ত্রীকেই পছন্দ করে বসল! তাও আবার সম্পূর্ণ ঘটনাটি ঘটছে বরের সামনেই। ভাবুন তো, সেই বর মশাইয়ের কী অবস্থা এখন? সে তো একবারে লজ্জায় মুখ ঢাকারও অবস্থায় থাকলেন না। এবার কী হবে? কি ভাবছেন তো, কোথায় ঘটল এরকম ঘটনা? অবাক হওয়ার কিছু নেই। স্বাভাবিকভাবেই ধারাবাহিক না সিনেমা ছাড়া আমাদের প্রতিবেদনেরে কে ই বা ঠাঁই পাবেন বলুন। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে অরিন্দম এবং নোলকরানীকে নিয়ে।
খুবই স্বল্প সময় হয়েছে স্টার জলসায় শুরু হয়েছে ‘গোধূলি আলাপ’ (Godhuli Alap)। রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত, এই ধারাবাহিকটি চিত্রিত করা হয়েছে, অসম বয়সী দাম্পত্যকে কেন্দ্র করে। শহরের দামী অ্যাডভোকেট অরিন্দম, এবং গ্রামের বহুরূপি নোলক রানীর সঙ্গে একটি দুর্ঘটনায় পড়ে বিয়ে হয়ে যায়। এরপরেই গ্রামের হাঁটুর বয়সী সেই মেয়েটা নোলক, তাঁর মধ্যবয়সী বরের কলকাতার এত নামি-দামি বাড়িতে এসে ওঠে। স্বাভাবিকভাবেই শহরের আদব-কায়দা বুঝতে তাঁর সময় লেগে যায়। শ্বশুরবাড়িতে কয়েকজন ছাড়া এখনও তাঁকে তেমন কেউ মেনে নেয়নি। যাই হোক, এরপর অনেক ঘটনাই ঘটে যায় নোলকের কারসাজিতে। প্রথম প্রথম বয়স্ক স্বামীকে মেনে না নিলেও এখন দুজনের মধ্যেই বনিবনা হচ্ছে আস্তে আস্তে। পাশাপাশি চলে তাঁদের মধ্যে মান-অভিমানের পালাও। যাই হোক, সম্প্রতি নোলক রানী সকলের অজান্তেই তাঁর দেওরের সঙ্গে রোহিনীর বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন।
সবাই প্রথম নোলককে মুখ করলেও পরে সব ঠিকঠাক হয়ে যায়।এর মধ্যেই আরেকটি কাণ্ড ঘটে গেল অরিন্দমের বাড়িতে। ব্যপারটা হল, অরিন্দমের বোনের মেয়ে মেখলা একেবারেই সহ্য করতে পারেনা নোলককে। সে নোলককে পদে পদে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেন। তেমনি এদিন মেখলাকে ছেলের বাড়ির লোক দেখতে এলে, অরিন্দম নোলককে একটি নতুন শাড়ী দিয়ে বলে ভাল করে সেজে ছেলের বাড়ির সামনে যেতে, যাতে তাঁর মাথা নিচু না হয়। বরের কথামতন নোলক দামী একটি শাড়ী পরে রেডি হলেও মেখলা কায়দা করে নোলককে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্যে, অরিন্দমের দেওয়া শাড়ী বদলে দেয় এবং ইচ্ছে করে ধাক্কা দিয়ে তাঁর হাত থেকে সিঁদুর কৌটো ফেলে দিয়ে তাঁকে শরবতের গ্লাস ধরিয়ে দিয়ে বলেন, ‘যাও এগুলো দিয়ে আসো ছেলের বাড়ির লোকেদেরকে।’
সেইমতো নোলক শরবতের গ্লাস নিয়ে ছেলের বাড়ির লোকের কাছে উপস্থিত হলে, ছেলের বাড়ির লোকেরা ভেবে নেয় নোলক অরিন্দমের মেয়ে এবং বলেন তাঁদের এই মেয়েকেই পছন্দ। তাঁদের ছেলের সঙ্গে নোলকেরই বিয়ে দিতে চান তাঁরা। ব্যস! এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটে যায় সবার। আসলে অরিন্দমের হাঁটুর বয়সী নোলক, তাই তাঁকে অরিন্দমের মেয়ে ভাবার মধ্যেও কোনও দোষ নেই। এবার কি করবে অরিন্দম বা নোলকই বা কি করবে? তা দেখার জন্যে আগামী সপ্তাহে ‘গোধূলি আলাপ’ এর স্পেশাল এপিসোড অবশ্যই দেখতে হবে!