নিজস্ব প্রতিনিধিঃ স্নান যাত্রার পর আষাঢ় মাসের এই শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথে জগন্নাথ-বলরাম ও সুভদ্রার মাসির বাড়িতে যাত্রা করেন। সেখানে সাতদিন থাকার পর ফের উল্টোরথের দিন তাঁরা ফিরে আসেন তাঁদের নিজ গৃহে। জেনে নিন এই দিন পুরীর রথযাত্রার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
মূলত তিন ধরণের কাঠ দিয়ে তৈরি হয় রথ। যার মধ্যে থাকে ফাসি, ভাউনরা, আসান এই তিন ধরণের কাঠ। পুরীর রথ তৈরিতে লাগে ১১০০ কাঠ। যা আসে মূলত ১২ ধরণের কাঠ থেকে। আলাদা আলাদা তিনটি রথে যাত্রা করেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। জেনে রাখুন তিন ভাইবোনের রথের চাকাও আলাদা। জগন্নাথ দেবের রথে থাকে ১৬টি চাকা। বলরামের রথে থাকে ১৪টি চাকা এবং সুভদ্রার রথে থাকে ১২টি চাকা।
শুধু তাই নয় তিনটি রথের রঙও আলাদা হয়। জগন্নাথদেবের রথের রঙ হয় লাল হলুদ। এই রঙ নাকি বিষ্ণুদেব পছন্দ করেন। বলরামের রথের রঙ হয় লাল সবুজ ও সুভদ্রার রথের রঙ হয় লাল-কালো। তাঁদের তিনটি রথের ঘোড়ার নামও আলাদা আলাদা। জগন্নাথদেবের রথের চারটি ঘোড়া রয়েছে। নাম শঙ্খ, বলহাকা, শ্বেতা, হরিদশ্ব। বলরামের চারটি ঘোড়ার নাম তীব্র, ঘোড়া, দীর্ঘশর্মা, স্বরনাভ। সুভদ্রার রথের ঘোড়ার নাম রুচিকা, মোচিকা, জিতা ও অপরাজিতা। তিন জনের রথের ঘোড়ার রঙও আলাদা। জগন্নাথের রথের জন্য সাদা, বলরামের জন্য কালো ও শুভদ্রার রথের জন্য লাল রঙের ঘোড়া থাকে। এবং তিনজনের রথের সারথীর নাম মাতালি, দাঁড়ুকা ও অর্জুন।