নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচন মিটে গেলেও অশান্তি কমার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। গোটা দেশে গত ৮ জানুয়ারি থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩৪৫টি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হয়েছেন ৭ জন। আহত হয়েছেন ৪৫০ জন। নিহত এবং আহতদের অধিকাংশই শাসকদল আওয়ামী লীগের বিরোধী শিবিরের। যদিও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বেসরকারি সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) জানিয়েছেন, গত ১৫ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দুই মাসে নির্বাচনী সংহিসতায় অন্তত ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ২ হাজার ২০০ জনের বেশি। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কটের পথে হেঁটেছিল বিএনপি-সহ দেশের প্রধান বিরোধী দলগুলি। ফলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারনা ছিল, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা তেমন ঘটবে না। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। মূলত আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানো বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সমর্থকদের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই সংঘর্ষ থেকে সংখ্যালঘুরাও রেহাই পায়নি।
এইচআরএসএসের রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে ঝালকাঠি, মাদারীপুর-সহ দেশের ৩৯টি জেলায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি ৬০ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ৩০০টির বেশি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি লুটপাটের মতো ঘটনা ঘটেছে। ভোট না দেওয়ার অপরাধে একাধিক বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।