নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: স্বাধীনতার ৫০ বছর কেটে গিয়েছে, বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় দেশ। বাংলাদেশের এই খ্যাতি অর্জনে নারীদের একটি বিশাল অবদান রয়েছে। তারপরেও নারীরা ঘরে-বাইরে, বয়স-শ্রেণি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। হ্যাঁ, আজ ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। নারীদের এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে গতকাল বাংলাদেশের আইন ও শালিশ কেন্দ্র থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, চলতি বছরে বাংলাদেশে প্রায় জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৮৩০ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
প্রায় ১০ মাসে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার প্রায় ৪১১ জন, এবং স্বামী ও স্বামীর পরিবার দ্বারা খুন হয়েছেন ২১৫ জন, এবং পারিবারিক সহিংসতার কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৭৯ জন নারী, এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১৪৮ টি। তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ মাসের এ দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ৮৩০ জন। তার মধ্যে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ১৯৫ জন, ধর্ষণের পর হত্যা হয়েছেন ৩৯ জন, এবং ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে মোট ১৪১টি। তাঁদের মধ্যে আত্মহত্যা করেছেন সাতজন। যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৪১ জন। আর যৌন হয়রানির ঘটনায় আত্মহত্যা করেছেন ৭ জন।
এদিকে পারিবারিক নির্যাতনের নিরিখে যৌতুক কেন্দ্রিক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৬৮ জন। নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে ১২ জনকে। এছাড়া অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন মোট ১২ জন নারী। শুক্রবার শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘নিঃশঙ্ক জীবন চাই: নারী নির্যাতনমুক্ত সমাজের অঙ্গীকার চাই’। দেশে নারী নির্যাতন বন্ধে সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। তার মধ্যে রয়েছে, ১৮০ দিনের মধ্যেই নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। উচ্চ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। বিচার চলাকালীন নির্যাতিতার শিশু ও পরিবারের উপযুক্ত চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যৌন সহিংসতা, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে।