এই মুহূর্তে




হাসিনার পর এবার টার্গেট বিএনপি! বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক আইএসআই শীর্ষ কর্তাদের




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে সরিয়ে দেওয়ার পরে এবার আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে টার্গেট করেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। কীভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপিকে কোণঠাসা করা যাবে, তার রূপরেখা চূড়ান্ত করতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকাস্থ পাকিস্তানি দূতাবাসের কাউন্সেলর  কামরান ধাঙ্গালের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সমন্বয়ক ও শীর্ষ পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইএসআইয়ের তিন শীর্ষ আধিকারিক।

সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করা হবে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে লাগাতার সুর চড়ানো হবে। বিএনপিকে গণঅভ্যুত্থান বিরোধী ও ভারত প্রেমী হিসাবে তুলে ধরা হবে। রাজপথে নেমে বিএনপির বিরুদ্ধে যেমন সরব হওয়া হবে, তেমনই সমাজমাধ্যমেও (বিশেষ করে ফেসবুক ও টিকটকে) খালেদা-তারেকের দুর্নীতি নিয়ে প্রচার চালানো হবে। আচমকাই বিএনপিকে কেন নিশানা করল পাক গুপ্তচর সংস্থা তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। একাংশ মনে করছেন, ভারত ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপি শীর্ষ নেতৃত্ব কঠোর বস্থান না নেওয়ায় আইএসআইয়ের চক্ষুঃশূল হয়ে উঠেছেন খালেদা জিয়া-মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা।

বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা থেকে শেখ হাসিনাকে উচ্ছেদ করতে ‘অপারেশন সাইক্লোন’ নামে বিশেষ মিশন শুরু করেছিল আইএসআই। ওই মিশনের অঙ্গ হিসাবেই গত বছরের জুলাইতে পরিকল্পিতভাবে জামায়াত ইসলামী-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত পড়ুয়াদের নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু করানো হয়েছিল। যা পরে হাসিনা উচ্ছেদ আন্দোলন হয়ে দাঁড়ায়। আর ওই আন্দোলনে সহযোগিতা করেছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও। কিন্তু গত কয়েক মাসে পরিস্থিতি আমূল বদলেছে। বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা দখলে যেমন আওয়ামী লীগ সমর্থকদের পরোক্ষ সমর্থন নিতে শেখ হাসিনাকে নিয়ে নমনীয় অবস্থান নিয়েছেন বিএনপি শীর্ষ নেতারা তেমনই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াত ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ- সহ কট্টর মৌলবাদী দলগুলো ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বিএনপি যাতে ক্ষমতা দখল করতে না পারে তার জন্য আসরে নেমেছে আইএসআই। গত কয়েকদিন ধরে আইএসআইয়ের পোষ্য সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও কট্টর জঙ্গি সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটির সমন্বয়ক-নেতারা বিএনপিকে টার্গেট করে হুঁশিয়রি দিয়ে চলেছে।

ভবিষ্যতে যাতে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ‘ভৃত্য’ হিসাবে গড়ে তোলা যায় সেই পরিকল্পনা নিয়ে গত মঙ্গলবার ঢাকায় পা রেখেছেন আইএসআইয়ের চার শীর্ষ কর্তা। ওইদিন সন্ধ্যায় EK 586 নম্বরের একটি বিমানে চেপে ঢাকায় নামেন আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিক, ডিরেক্টর জেনারেল অ্যানালিসিস মেজর জেনারেল শহিদ আমির আফসার, মেজর জেনারেল আলম আমির আওয়ান এবং SSG কর্তা মহম্মদ উসমান লতিফ। ওই প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে ছিলেন বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা DGFI-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিক ব্রিগেডিয়ার মেহদি।

সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান দূতাবাসের কাউন্সেলর কামরান ধাঙ্গালের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, হাসিব উল ইসলাম, রাফায়াত রশিদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির নাসিরুদ্ধিন পাটোয়ারি, আখতার হোসাইনদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেজর জেনারেল শহিদ আমির আফসার, মেজর জেনারেল আলম আমির আওয়ান এবং SSG কর্তা মহম্মদ উসমান লতিফ। বৈঠকে মাহিন সরকার, নুসরাত তাবাসসুম, তারিকুল ইসলাম, আসাদুল্লাহ আল গালিব, মোহাম্মদ রাকিব, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, রফিকুল ইসলাম আইনী ও মুঈনুল ইসলামও হাজির ছিলেন।

বৈঠকে হাজির এক ছাত্র নেতা জানিয়েছেন, মূলত বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিকে কীভাবে সরানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু হবে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাস্কের পায়ে পড়েও লাভ হল না, ফের বাংলাদেশের আর্থিক অনুদান বাতিল

শাহরুখ খানের দল ছেড়ে দিল‌ সাকিব আল হাসানকে

‘ট্রাম্পের কাছে গিয়েও কিছু করতে পারেনি’, মোদিকে ব্যঙ্গ মোল্লা ইউনূসের

মৌলবাদীদের হামলার হুমকিতে এবার ঢাকায় বন্ধ হল নাট্যো‍ৎসব

নবীকে কটাক্ষ করে কবিতা লেখার অভিযোগে বাংলাদেশে গ্রেফতার কবি

অপারেশন ডেভিল হান্টে ৭ দিনে গ্রেফতার ৩,৯২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর