এই মুহূর্তে




দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসা ফের অনিশ্চিত




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: আসন্ন দুর্গাপুজোয় ওপারের (ভারতের) ম‍ৎস্য রসিকদের পাতে পদ্মার ইলিশ পড়বে কিনা, তা রবিবারও নিশ্চিত নয়। বরং ইলিশ রফতানি নিয়ে নয়া জটিলতা দেখা দিয়েছে। ইলিশ রফতানি বন্ধ চেয়ে এদিনই বাণিজ্য বাণিজ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রপ্তানি কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর পরে গত কয়েক বছরের মতো এবারেও আসন্ন দুর্গো‍ৎসবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাঙালিদের জন্য পজো হিসাবে ইলিশ পাঠানো হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়। খোদ ম‍ৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফরিদা আখতার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের মানুষ আগে ইলিশ খাবে। তার পরে অন্য দেশে (পড়ুন ভারত) পাঠানো হবে। ভারতে ইলিশ না পাঠানোর জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন।

কিন্তু শনিবার আচমকাই বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে আসন্ন দুর্গো‍ৎসবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রক। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের ওই সিদ্ধান্তে মুখের হাসি চওড়া হয়েছিল ওপারে থাকা সাধারণ মানুষ থেকে ম‍ৎস্য ব্যবসায়ীদের। প্রথমে ভারতে ইলিশ পাঠানোর বিরোধিতা করলেও রবিবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে ফরিদা আখতার জানান, ভারতের বিশেষ অনুরোধেই আসন্ন দুর্গো‍ৎসবে তিন হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও ভারতের তরফে কে বা কারা ওই অনুরোধ জানিয়েছিলেন তা অবশ্য স্পষ্টভাবে জানাননি তিনি।

ম‍ৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা যখন ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন, ঠিক তখনই আসরে নেমেছেন ভারত বিদ্বেষীরা। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান ইলিশ রফতানি বন্ধ চেয়ে বাণিজ্য-সহ বিভিন্ন মন্ত্রক ও বিভাগে চিঠি দিয়েছেন। ওই আইনি নোটিশে তিনি বলেছেন, আইনি নোটিশে বলা হয়, ‘ভারতের বিশাল ও বিস্তৃত সমুদ্র সীমা রয়েছে। ভারতের জলসীমায় ব্যাপকভাবে ইলিশ উৎপাদন হয়। তাই বাংলাদেশ থেকে ভারতের ইলিশ মাছ আমদানির কোনও প্রয়োজন নেই। ভারত মূলত বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্ট ও মাছ রফতানিকারকরা সারা বছর পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুত করে রাখে এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর ইলিশ ভারতে রফতানি  করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে। ফলে দেশের জনগণ বাজারে গিয়ে পদ্মার ইলিশ পায় না। তাছাড়া বাংলাদেশের রফতানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রফতানিযোগ্য কোনও মাছ নয়। এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রক ভারতে ইলিশ মাছ রফতানির অনুমতি দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছে।’ তিন দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রফতানি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না হলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হবে বলেও আইনি নোটিশে হুমকি দিয়েছেন মাহমুদুল হাসান। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ইলিশ রফতানি নিয়ে আইনি লড়াই এখন সময়সাপেক্ষ। আর আইনি জটিলতার কারণে পুজোর সময়ে ওপারের বাঙালির পাতে পদ্মার ইলিশ না-ও পড়তে পারে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাংলাদেশের যশোরেশ্বরী মন্দিরে মা কালীকে দেওয়া মোদির সোনার মুকুট চুরি

গল্প নয় সত্যি, মাত্র এক টাকায় মিলছে নতুন জামা-কাপড় থেকে চাল-ডাল

১৫ ডিসেম্বর হাসিনার ফাঁসির সাজা ঘোষণা! প্রধান বিচারপতি-আইন উপদেষ্টার বৈঠকে সিদ্ধান্ত

Bangladesh: ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দুই পরিবারের ৮ জনের

৪০০ বছর ধরে কিশোরগঞ্জে বসে ‘ঢাকের হাট’, বাদ্য শুনে ভাড়া করা হয় ঢাকিদের

লক্ষ্য ভারতে হামলা? ঢাকায় গোপন বৈঠক হামাস, তালিবান ও পাকিস্তানের জঙ্গি নেতাদের

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর