নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে (Sitakunda) বেসরকারি কন্টেনার ডিপোতে (Commercial Container Depot) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Prime Minister Sk. Hasina)। নিহতদের পরিবারবর্গকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার জন্য রক্ত দিতে এগিয়ে আসার জন্য শাসকদল আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকলে তার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (Bangladesh PM)।
এদিকে, সীতাকুণ্ডে বেসরকারি ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ক্রমশই লাফিয়ে বাড়ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট ৩৫ জন মারা গিয়েছেন। গুরুতর জখমদের অনেকের আবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়বে বলেই আশঞ্কা চিকিৎসকদের। ডিপোর মধ্যে এখনও কেউ আটকে রয়েছেন কিনা, তা আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত স্পষ্টভাবে বলতে পারছেন না প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। তবে এখনও যেভাবে একের পর এক কন্টেনারে বিস্ফোরণ ঘটছে, তাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কষ্টসাধ্য হবে বলেই মনে করছেন দমকলের ডিজি ব্রিগেডিয়ার মুহাম্মদ মঈনউদ্দিন (Muhammad Moinuddin)। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কন্টেনার ডিপোর মালিকপক্ষের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কোনও কন্টেনারে কী ধরনের দাহ্য পদার্থ রয়েছে, তা জানা সম্ভব হচ্ছে না। একাধিক কন্টেনারে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থাকার কারণে মুহর্মুহু বিস্ফোরণ ঘটছে। ফলে আগুন নেভাতে গিয়ে দমকল কর্মীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। পাইপ দিয়ে জল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (chattogram Medical College & Hospital) শুধুই মৃতদের স্বজনদের আর্তনাদ আর হাহাকার। একের পর এক লাশ পৌঁছতেই কান্না আর বুক ফাটা চিৎকারে হাসপাতাল চত্বরের বাতাস আরও ভারী হয়ে উঠছে। আহতদের চিকিৎসা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। রক্তের অভাবের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ ও আইসিইউ বেডেরও সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই আহতদের বাঁচাতে রক্ত দিতে চট্টগ্রাম হাসপাতালে পৌঁছেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী।