নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: জাতিসঙ্ঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট না দেওয়া নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমেরিকা যখন পাকিস্তানকে সাহায্যের জন্য সপ্তম নৌ-বহর পাঠিয়েছিল, তখন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল রাশিয়া। কাজেই যারা দুঃসময়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমরা নিশ্চয়ই তাদের পাশে থাকব।’
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর নিন্দা জানিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের সভায় বিশেষ প্রস্তাব এনেছিল পশ্চিমী দেশগুলি। সেই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে যে ৩৫টি দেশ ভোট দেয়নি, তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে একই ইস্যুতে দ্বিতীয় প্রস্তাবে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। আর তার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। আচমকাই বাংলাদেশ কেন ডিগবাজি খেল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কূটনীতিবিদরা।
এদিন জাতীয় সংসদে এ বিষয়ে মুখ খুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বন্ধুপ্রতিম দেশ হওয়ায় শুধুমাত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রথম প্রস্তাবে বাংলাদেশ ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় প্রস্তাবে মানবতার বিষয়টি জড়িত থাকায় বাংলাদেশ ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ নাম না করে পশ্চিমী দেশগুলির ভূমিকাকে বিঁধে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধ কিভাবে বন্ধ করা যাবে, সেই চেষ্টা নেই। শুধু একটা দেশের বিরুদ্ধে ভোট। সেটা হল রাশিয়া। তখন আমি বললাম, না, এখানে তো আমরা ভোট দেবো না। কারণ যুদ্ধ তো একা একা বাধে না। উস্কানি তো কেউ না কেউ দিচ্ছে। তাহলে একটা দেশকে কনডেম (নিন্দা) করা হবে কেন? সেই জন্য আমরা ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলাম।’ মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশের পক্ষে রাশিয়ার অবদানের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।