নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সময় যতই যাচ্ছে এশিয়দের প্রতি ইউক্রেনের সেনাদের অমানবিক ব্যবহারের কথা ততই প্রকাশ হচ্ছে। এবার অভিবাসী শিবির দখল করে শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বিদেশি নাগরিকদের বন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠল ভোলদিমির জেলেনেস্কির সেনাদের বিরুদ্ধে। ওই বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিকও। তাঁদের মধ্যে একজন রিয়াদুল হক এক ভিডিও বার্তায় সেনাদের হাতে বন্দি থাকার কুণ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিশেষ আর্তি জানিয়েছেন। আর ইউক্রেনের সেনাদের হাতে ছেলের বন্দি থাকার খবর জানার পরেই কার্যত ঘুম উবেছে রিয়াদুলের বাবা-মায়ের।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা রিয়াদুল চার বছর আগে ভাগ্যের সন্ধানে ইউক্রেনে পাড়ি জমিয়েছিল। একটি অভিবাসী শিবিরে ঠাঁই হয়েছিল। ভালই কাটছিল দিন। কিন্তু রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করার পরেই পরিস্থিতি বদলে যায়। রিয়াদুলদের দুর্ভাগ্যের শুরু হয়। যুদ্ধের একপর্যায়ে ইউক্রেনের সেনারা অভিবাসী শিবিরের দখল নেয়। শুধু তাই নয়, শিবিরে থাকা সবাইকে কার্যত আটক করে।
সম্প্রতি রিয়াদুলের এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ্য এসেছে। ওই ভিডিও বার্তায় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ক্যাম্পে ৫ বাংলাদেশিসহ শতাধিক লোক রয়েছি। আগে এটা অভিবাসী ক্যাম্প ছিল। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর দখলের পর এখন এটা হয়েছে সেনা ক্যাম্প। এখানে ভয়ের মধ্যে রয়েছি আমরা। আমাদের আটকে রাখা হয়েছে, জিম্মি হয়ে আছি। রাত হলে বোমার শব্দ শোনা যায়। গুলির শব্দ শুনতে পাই, আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। যে রুমে আমরা ৩/৪ জন থাকি, সেখানে রাখা হয়েছে ১০ জন মানুষ। আমাদের এখান থেকে কেউ বাঁচানোর ব্যবস্থা করুন। এভাবে থাকলে একদিন দমবদ্ধ হয়ে মরে যাব।’