নিজস্ব প্রতিনিধি : ছয় মাস আগে মৃতদেহ বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। মৃতদেহটিকে ববি খাতুনের বলে চিহ্নিত করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সেই মৃতদেহ ববির ছিল না। সম্প্রতি তা প্রমাণিত হল। সম্প্রতি স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে ফিরে এলেন ববি।
২০২৩ সালের ২৬ জুলাই দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় একটি পুকুর থেকে একটি মৃতদেহকে উদ্ধার করা হয়। মৃত মহিলার দেহ সোনার অলঙ্কার দেখে ববি খাতুনকে চিহ্নিত করে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের উপস্থিতিতে দেহটিকে কবর দেওয়া হয়। ফকিরপাড়া কবরস্থানে মৃতদেহটিকে কবর দেওয়া হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পর মামলাটি আদালতে এখন বিচারাধীন। বিচারাধীন থাকাকালীন গত বুধবার স্বামীকে নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকা গ্রামে ফিরে আসেন ববিকে। জানা যায়, যে মৃতদেহটিকে ছয় মাস আগে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল, সেটি আদৌ ববি খাতুনের নয়।
ইতিমধ্যে এই মামলা আদালতে বিচারাধীন। তবে এই ঘটনায় অভিযুক্ত রুবেল আলি এখন জামিনে মুক্ত। এই প্রসঙ্গে রুবেল জানান, ‘ববি খাতুনের স্বামীর মোবাইল ফোন আমার কাছে ছিল। ববি খাতুন ফোন করে বললে বাড়িতে গিয়ে মোবাইল ফোনটি দিয়ে আসি। এটাই ছিল আমার ভুল। এর কিছুদিনের মধ্যেই ববি নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর আমার ওপর মানসিক চাপ আসা শুরু হয়ে যায়।‘ এরপরই ববির ফিরে আসা প্রসঙ্গে রুবেল জানান, ‘আমি বার বার বলেছি, আমি কোনও হত্যা করিনি। তখন কেউ বিশ্বাস করেনি। এখন ববি ফিরে এসেছে। কথায় আছে সত্যের জয় অনেকদিন পরেও হয়। এবার সেটাই প্রমাণিত হল।‘