নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই দেশে জ্বালানি সঙ্কট (Fuel Crisis) তীব্র হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি সামলাতে সপ্তাহে একদিন করে পেট্রল পাম্প (Petrol Pump) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামিকাল মঙ্গলবার থেকে ডিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বন্ধ রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং (Loadshedding) করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) শেখ হাসিনার (Sk.Hasina) পৌরাহিত্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওয়াকিবহাল মনে করছে, শ্রীলঙ্কার মতোই হাল হতে চলেছে দেশের।
গত মাস দুয়েক ধরেই দেশে জ্বালানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তরলীকৃত গ্যাস আমদানি (LNG) করতে না পারায় যেমন বির্দ্যু উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনই ডিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ফলে জ্বালানিরও তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির শোচনীয় অবনতি ঘটছে। দেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সঙ্কট কীভাবে সামাল দেওয়া হবে, তা নিয়ে এদিন জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই-ইলাহী চৌধুরী (Tawfiq-e-Elahi Chowdhury), বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ (Nasrul Hamid), মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের আধিকারিকরা।
বৈঠকের পরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ (Nasrul Hamid) সাংবাদিকদের জানান, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে সপ্তাহে একদিন পেট্রল পাম্প বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে বন্ধ রাখা হবে, সেটা পরে জানানো হবে। বন্দর এলাকায় সপ্তাহে দুই দিন পেট্রল পাম্প বন্ধ রাখার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।’ দেশে জ্বালানির সঙ্কট মেটাতে ডিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে আগামিকাল থেকে লোডশেডিংয়ের বহর বাড়বে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (Tawfiq-e-Elahi Chowdhury) এ বিষয়ে বলেন, ডিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করায় দিনে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। ফলে এলাকাভিত্তিক ডোডশেডিং চালু হচ্ছে। কোথাও দিনে এক থেকে দেড় ঘন্টা আবার কোথাও কোথাও দুই ঘন্টা লোডশেডিং হবে।