নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ফেসবুকে (Facebook) ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক পোস্টের দায়ে ধৃত ঝুমন দাসের (Jumon Das) জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেল। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ হল। রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (Judicial Magistrate) ইশরাত জাহানের (Ishrat Jahan) এজলাসে পেশ করা হয়েছিল তাঁকে। দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে ঝুমনের (Jumon Das) জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারক। যদিও হিন্দু হওয়ার অপরাধেই ঝুমনকে জামিন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন হিন্দু সংগঠনের নেতারা।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁওয়ের বাসিন্দা ঝুমনের (Jumon Das) বিরুদ্ধে অভিযোগ ফেসবুকে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক পোস্ট করেছেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩০ অগস্ট হিন্দু নির্যাতনের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে ওঠা ডিজিটাল আইনে গ্রেফতার করে শাল্লা থানার পুলিশ। গত ৩১ অগস্ট তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিন ফের সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে সুমনের জামিনের আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী পঙ্কজ কুমার। দীর্ঘ শুনানির পরে বিচারক জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন। এদিন অবশ্য নিরাপত্তার কারণে ঝুমনকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তাঁকে কারাগারে রাখা হয়েছিল।
গত কয়েক বছর ধরেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (Digital Security Act) কার্যত বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হিন্দু নির্যাতনের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই হিন্দু মহাজোট (Hindu Mahajote) সহ একাধিক সংখ্যালঘু সংগঠন ওই কালা আইন বাতিলের দাবিতে সরব হয়েছে। হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব পলাশ কান্তি দে’র (Palash Kanti Dey) কথায়, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে নিপীড়নের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। ওই আইনের ৫৭ নম্বর ধারার অপপ্রয়োগ করছে পুলিশের একাংশ। হিন্দুদের নিরাপত্তার স্বার্থেই ওই আইন বাতিল করা উচিত।’