নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (Coronavirus) কারণে গত দুই বছর ঢাকায় কুমারী পুজো (Kumari Puja) হয়নি। আজ সোমবার রামকৃষ্ণ মিশন (Ramkrishna Mission), শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ ও শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরে (Shree Shree Radhagobindo & Shataneswary Mandir) ধুমধামের সঙ্গে কুমারী পুজো (Kumari Puja) অনুষ্ঠিত হল। আর সেই কুমারী পুজো (Kumari Puja) দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ল।
হামলার আশঙ্কাকে পাত্তা না দিয়ে মহাষ্টমীর অঞ্জলি দিতে এদিন সকাল দিতেই ঢাকা সহ দেশের ৩২ হাজারের বেশি মণ্ডপে জড়ো হয়েছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ভিড় সামাল দিতে স্বেচ্ছাসেবক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়। অধিকাংশ মণ্ডপেই সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে অষ্টমীর পুজো ও অঞ্জলি পর্ব শেষ করা হয়। খানিক বিশ্রাম দিয়ে সন্ধিপুজোর আয়োজনে নেমে পড়েন পুজো আয়োজক ও পুরোহিতরা। অবশ্য রামকৃষ্ণ মিশন, শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ ও শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দির সহ একাধিক মণ্ডপে সকাল এগারোটা নাগাদ কুমারী পুজো শুরু হয়। দুই বছর বাদে কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হওয়ায় তা দেখার জন্য ভিড় করেছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
রাজধানীর পাথরঘাটায় শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ ও শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরে সাত বছর বয়সী প্রীত ধরকে (Preet Dhar)। তাকে মালিনী (Malini) নামে পুজো করা হয়। শাস্ত্রমতে মালিনী নামে কুমারী পূজিত হলে ধন ও ঐশ্বর্য লাভ হয়। সেন্ট স্কলাস্টিকাস স্কুলের (St. Scolasticas School) প্রথম শ্রেণির পড়ুয়াকে মাতৃরূপে ফুল, চন্দন, বেলপাতা, তুলসী পাতা দিয়ে পুজো করা হয়। কুমারী পুজো পরিচালনা করেন শান্তন্বেশ্বরী মাতৃমন্দিরের পুরোহিত শ্রীমৎ শ্যামানন্দ দাস মোহন্ত মহারাজ। রামকৃষ্ণ মিশনে ছয় বছরের দেবপ্রিয়া চক্রবর্তী শ্রেষ্ঠাকে কুমারী হিসেবে পুজো করা হয়।