নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ক্ষুদেদের আন্দোলনের কাছে শেষ পর্যন্ত নতজানু হল বাংলাদেশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়ে দিয়েছেন, তেঁতুলতলার মাঠে পুলিশের জন্য কোনও ভবন তৈরি করা হবে না। মাঠে আগের মতই খেলাধুলা হবে।
হাসিনার এই ঘোষণায় আন্দোলনকারী পড়ুয়া নৈতিক জয় দেখছেন। সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণায় রীতিমতো উচ্ছ্বসিত সৈয়দা রত্না এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সৈয়দ রত্না বলেন, তিনি নিশ্চিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কানে খবর পৌঁছলে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন। খেলার মাঠে পুলিশের জন্য ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত রদ করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান। জায়গাটি আগের মত যেভাবে ব্যবহার করা হত আগামীদিনেও সেইভাবেই ব্যবহার করা হবে। মাঠটি খেলার মাঠ ছিল। খেলার মাঠ হিসেবেই ব্যবহৃত হবে। মাঠে কোনও নির্মাণ কাজ হবে না।
কী বলছে মাঠ রক্ষার আন্দোলনকারী সৈয়দ রত্না? “মাঠটি ছিল এলাকাবাসীর নিশ্বাস। এই মাঠ রক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই চালিয়ে এসেছি। আর সেই মাঠ রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশ আমায় ও আমার শিশু সন্তানকে ১২ ঘণ্টায় থানায় আটকে রাখে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। আন্দোলন সফল।’’
গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে সংবাদের শিরোনামে তেঁতুলতলার মাঠ। পুলিশ ওই মাঠে একটি ভবন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিল। এলাকার মানুষের তাতে প্রবল আপত্তি ছিল। কিন্তু সৈয়দ রত্না শুধু আপত্তি জানিয়ে থেমে থাকেননি। কার্যত পথে নামেন, তিনি নিজে এবং ঈসা আবদুল্লাহ। ফেসবুক লাইভ করায় পুলিশ মা ও ছেলেকে থানায় তুলে নিয়ে যায়।
বাংলাদেশের সুশীল সমাজও প্রতিবাদে নামে। প্রতিবাদের ধাক্কায় পুলিশ রত্না এবং তাঁর ছেলেকে ছেড়ে দেয়। আর এবার প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে তারা সকলেই স্বস্তি পেলেন।
আরও পড়ুন দীর্ঘদিন বাদে প্রিয়জনের কাছে ফিরলেন ভারতে আটক ভারসাম্যহীন পাঁচ বাংলাদেশি