নিজস্ব প্রতিনিধি: বহুদিন ধরে বলিউড আইটেম গার্ল নোরা ফাতেহির বাংলাদেশ যাওয়া নিয়ে একাধিক জটিলতা চলছিল। ঢাকায় যাওয়ার কিছুতেই অনুমতি মিলছিল না তাঁর, একবার সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলেও শেষমেশ অনুমতি মেলে নি নোরার। এই নিয়ে কিছুদিন ধরেই বেশ চর্চা চলছে।
মাস কয়েক আগেই নোরার বাংলাদেশ যাওয়ার অনুমতি শেষমেশ খারিজ করে দিয়েছিল হাসিনা সরকার। এতকিছু বিতর্কের পর অবশেষে নোরার ঢাকায় যাওয়ার অনুমতি মিলল। আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকা যাচ্ছেন বলি সুন্দরী নোরা। তবে ঢাকায় গেলেও তিনি কেবল ডকুমেন্টারির শুটিংয়েই অংশ নিতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে, এর বাইরে কোনো কাজে তিনি অংশ নিতে পারবেন না বলেই বাংলাদেশ সংবাদ সূত্রের খবর।
উপসচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত তথ্য মন্ত্রণালয়ের থেকে সদ্য প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে, আগামী ১৮ নভেম্বর নোরাকে ঢাকায় আসার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশে সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে আরও পাঁচটি শর্ত দেওয়া হয়েছে কানাডার নাগরিকত্ব পাওয়া নোরাকে।
প্রথম শর্তে বলা হয়েছে, নোরা ১৮ নভেম্বর যাতায়াত সময় ব্যতীত ১দিন বাংলাদেশে থাকতে পারবেন। শুধুমাত্র ডকুমেন্টারি শুটিংয়ের কাজে করতে পারবেন তিনি। বর্ণিত সময়ের মধ্যে তিনি অন্য কোনো কাজে বা অনুষ্ঠানে যোগদান দিতে পারবেন না।
দ্বিতীয় শর্ত, সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টারির প্রযোজক অভিনেত্রীর জন্য যথাযথ নিয়মে বাংলাদেশ হাইকমিশন/ উপহাইকমিশন থেকে নোরার ভারতে যাওয়ার জন্যে ভিসা সংগ্রহ করবেন।
তৃতীয় শর্ত, বিদেশি অভিনেত্রীর সঙ্গে সমস্ত চুক্তিমূল্য, বিমান ভাড়া, হোটেল ভাড়া, থাকা-খাওয়ার বিল এবং যাতায়াত ভাড়ার ওপর ৩০% হারে বাংলাদেশ সরকারের প্রাপ্য অগ্রিম করের প্রমাণ ডকুমেন্টারির সেন্সরের সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে দিতে হবে, আর তা না হলে সেন্সর বোর্ড তা বিবেচনা করবে না।
চতুর্থ শর্ত, নোরাকে আনার জন্যে যে আয়োজন করা হয়েছে, তা খরচাবাবদ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অর্থ দেওয়া হবে না।
পঞ্চম শর্ত, উপরের কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টারি নির্মাণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসঙ্গত, ডব্লিউ এলসির পক্ষ থেকে প্রথম নোরাকে বাংলাদেশে আবার আবেদন করেছিলেন সভাপতি ইশরাত জাহান মারিয়া। আসলে ‘উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি ডকুমেন্টারিতে অংশ নেওয়ার জন্যে নোরাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এছাড়া ‘নারী উদ্যোক্তা অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতেও ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশে যাচ্ছেন নোরা।