নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: লোকসানের বোঝা কমানোর অছিলায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (Bangladesh Petroleum Corporation) যেভাবে জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে তাতে সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছে। আর সাধারণ মানুষের সেই ক্ষোভের আঁচ পেয়েই এবার আসরে নামলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Prime Minister Sk Hasina)। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে জ্বালানি মন্ত্রী নসিরুল হামিদ বিপুকে পেট্রল-ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উষ্মার মুখে পড়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলেননি জ্বালানি মন্ত্রী। তবে সূত্রের খবর, পেট্রল ও ডিজেলের দাম কিছুটা কমানোর পথে হাঁটতে পারে জ্বালানি মন্ত্রক।
গত মাস দুয়েক ধরেই জ্বালানি সঙ্কটে ভুগছে বাংলাদেশ। পরিস্থিতি সামলাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও কাটছাঁট করা হচ্ছে। লোকসানের বোঝা কমাতে গত শুক্রবার আচমকাই জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় ৪২ শতাংশ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ১৩০ টাকা করা হয়েছে। অকটেনের দাম বেড়েছে ৮৯ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা। অর্থাৎ পেট্রল ও অকটেনের ক্ষেত্রে মূল্য বৃদ্ধির হার ৫০ শতাংশেরও বেশি। আর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৮০ টাকা থেকে ১১৪ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ এই দাম বৃদ্ধির হার প্রায় ৪২ শতাংশ।
জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি পেট্রল পাম্পে ভাঙচুরও চালানো হয়েছে।