নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিকিমের বন্যা ভাসিয়েছে বাংলাদেশকেও। তিস্তার জলের তোড়ে বাংলাদেশের রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার নদী তীরবর্তী এলাকায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই নদী তীরবর্তী স্থানগুলিতে মাইকিং শুরু হয়েছে। বাসিন্দাদের সতর্ক করতে পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।
বুধবার সকাল থেকে মাইকিং শুরু হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নিরাপদ স্থানে মানুষকে সরে যেতে বলা হয়েছে। নদী উপকূলবর্তী স্থানের মানুষদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিস্তার জল বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলেই আশঙ্কা প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে ২৭.৪, দিনাজপুরে ৫৪.৪, সৈয়দপুরে ২৭, নীলফামারীতে (ডিমলা) ১১.৯, কুড়িগ্রামে ১৫ এবং পঞ্চগড়ে ৭.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার স্তর পেরিয়েছে তিস্তা। প্রবল জলের চাপে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তার উপকূলে ঘরবাড়ি জলে প্লাবিত। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যার আশঙ্কায় অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়েছে।
উল্লেখ্য, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উপচে পড়ে লোনাক লেক। বিপুল পরিমাণ জল চলে আসে তিস্তা নদীতে। প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট জলস্তর বেড়েছে তিস্তার। যার জেরেই এই বিপত্তি। তিস্তার সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি। অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হাই অ্যালার্ট জারি সিকিমে। জলপাইগুড়ির বেশিরভাগ অংশ দিয়ে তিস্তা প্রবাহিত হয়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকাও।