নিজস্ব প্রতিনিধি, মাগুরা: বিতর্ক আর সাকিব আল হাসান যেন সমর্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাইশ গজে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক। প্রথমবার ভোট ময়দানে নেমেই বিতর্কে জড়িয়ে গেলেন সাকিব। নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও আওয়ামী লীগের পোষ্য হিসেবে পরিচিত নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা ওই আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সাকিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেননি।
কী ঘটেছে? আওয়ামী লীগের হয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক। টিকিট পাওয়ার পরে বুধবার ঢাকা থেকে নিজের নির্বাচনী এলাকার উদ্দেশে রওনা হন সাকিব। আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীকে অভ্যর্থনা জানাতে সকাল থেকে মাগুরা ও ফরিদপুরের সীমান্ত গড়াই সেতু এলাকায় হাজির ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীরা। প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে কামারখালীর গড়াই সেতু থেকে মাগুরা শহরে ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সাকিবের প্রায় দু’ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এ সময় তাঁর কনভয়ে কয়েকশো মোটরসাইকেল ও চার চাকার গাড়ি দেখা যায়। এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। দুপুরে আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে এক নাগরিক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিজের এবং আওয়ামী লীগের জন্য ভোট প্রার্থনা করেন।
নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধি অনুযায়ী, ‘ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহের আগে কোনও প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। হিসেব বলছে, ১৫ ডিসেম্বরের আগে কেউই নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না। তাছাড়া আচরণ বিধি অনুসারে, কোনও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তাদের মনোনীত প্রার্থী কোনও ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল বা অন্য কোনও যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল বের করতে পারবেন না। মহড়াও চালানো যাবে না। কিন্তু কমিশনের সেই আদর্শ আচরণবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গাড়ি মিছিল করার পাশাপাশি ভোটপ্রচারও শুরু করে দেন সাকিব। যদিও এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।