নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: লক্ষ্মীবারেই টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সঙ্গে ৪০ জন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন। সন্ধে সাতটায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তরফে প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ হাসিনাকে নিয়োগের কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
গত রবিবারই দেশের ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ভোট নেওয়া হয়। বিএনপি-সহ দেশের প্রধান বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে ওই নির্বাচন বয়কট করা হয়েছিল। সিংহভাগ সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রমুখী হননি। দেদার ছাপ্পা আর বুথ লুঠের সাহায্যে প্রহসনের নির্বাচনে বিপুল জয়লাভ করেছিল শাসকদল আওয়ামী লীগ। ২৯৮টি আসনের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। তার মধ্যে ২২২টি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের একজন করে জয়ী হয়েছেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টি জয়ী হয়েছে মাত্র ১১টি আসনে। আর ৬২টি আসনে জিতেছেন নির্দল হয়ে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতারা।
আগামিকাল বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনার সঙ্গে কারা মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, বিদায়ী মন্ত্রিসভার অন্তত ১৫ জন বাদ পড়তে পারেন। তার মধ্যে এবারের ভোটে পরাজিত তিন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। ওই তিন প্রতিমন্ত্রী হলেন এনামুর রহমান, স্বপন ভট্টাচার্য ও মাহবুব আলী। তাছাড়া ভোটে মনোনয়ন পাননি শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিন মেয়াদে মন্ত্রিত্ব করছেন এমন কয়েকজনের ঘাড়ে কোপ পড়তে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। বাদ পড়া মন্ত্রীদের জায়গায় এবারই প্রথম ভোটে জিতেছেন এমন কয়েকজন সাংসদ ঠাঁই পেতে পারেন।