নিজস্ব প্রতিনিধি: মাধ্যমিক (MADHYAMIK) পরীক্ষা (EXAM) শুরু হওয়ার কথা ছিল প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পরেই। পরীক্ষার দিন ধার্য হয়েছিল ১৯ জুন। কিন্তু বাংলাদেশের (BANGLADESH) সার্বিক বন্যা (FLOOD) পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে আরও। তার জেরেই দেশের সমস্ত শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক, এসএসসি (SSC), মাদ্রাসা এবং ভোকেশনাল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, পরীক্ষার পরবর্তী সময়সূচি জানানো হবে পরে। উল্লেখ্য, ভারী বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলের ফলে বন্যা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশে। নদীতে বেড়েছে জলস্তর।
মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খয়ের। উল্লেখ্য, দেশের সিলেট এবং সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপজেলা প্রায় জলের নীচে। অবস্থার অবনতি হয়েই চলেছে। পরিস্থিতি এমন যে উদ্ধারকার্যে নেমেছে সেনাবাহিনী। জানা গিয়েছে, ধরলা নদীর জলস্তর বেড়ে তা বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলিমারি পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জল। নেত্রকোণাতেও দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা।
বিভিন্ন জায়গায় জলের নীচে ঘর-বাড়ি- দোকান- স্কুল। মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ত্রাণশিবিরে। দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া কঠিন। শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হবে। পরবর্তী সময়সূচি জানানো হবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে। প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। প্রথম দিনের এসএসসি পরীক্ষার বিষয় ছিল বাংলা প্রথম পত্র। তবে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেই পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে।
চলতি বছরে এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২০ লক্ষ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের প্রায় ২৯ হাজার ৫১৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের ৩ হাজার ৭৯০ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।
জানা গিয়েছে, সিলেট- সুনামগঞ্জ রাস্তা জলের নীচে তলিয়ে যাওয়ায় দেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফোনেও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার, ছাতক উপজেলায় দ্রুত উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করবে সেনাবাহিনী। এদিকে জানা গিয়েছে, সুনামগঞ্জে ঘুরতে গিয়ে বন্যায় আটকে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন শিক্ষার্থী। তাঁরা খাদ্য ও পানীয় জলের সঙ্কটে ভগছে। কাতর আর্তি জানিয়েছেন উদ্ধারের জন্য।