নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের(Bangladesh) সাধারণ নির্বাচন(General Election 2024)। সেই ভোটেই ঠিক হয়ে যেতে চলেছে আগামী ৫ বছর বাংলাদেশ কার হাতে থাকবে। সেই ভোটে ভোটদান করতে এখন বিদেশের প্রবাসী বাংলাদেশীরা দলে দলে নিজের নিজের গ্রামে বা শহরে ফিরছেন। এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফিরেছেন বছর ৪৫’র যুবক আবুল কাশেম স্বপনও(Abul Kashem Swapan)। কিন্তু তাঁর প্রত্যাবর্তন গোটা শহরকে তো বটেই, সারা বাংলাদেশকে সাড়া ফেলে দিয়েছে। কেননা স্বপন তাঁর শহরে এসেছে হেলিকপ্টারে(Helicopter) চড়ে। পাড়ার ছেলে হেলিকপ্টারে চড়ে ভোট দিতে আসছে শুনে গোটা পাড়ার ভেঙে পড়ে মাঠে, ঘরের ছেলেকে স্বাগত জানাতে। এদিন ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার(Kishorganj District) কটিয়াদী পুরসভার(Katiyadi Municipality) তাহেরা নূর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের মাঠে। শয়ে শয়ে মানুষ এসে ভিড় জমান স্বপনের হেলিকপ্টারে চড়ে আসা দেখতে। রীতিমত বীরের মতো বরণ করে স্বপনকে কাঁধে চড়িয়ে বাড়ি ফেরেন তাঁর পাড়ার লোকেরা। সেই ঘটনার ছবিই এখন ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
জানা গিয়েছে, কটিয়াদী পুরসভার পৌরসভার তেলিচাড়া এলাকার মেনু মিয়ার একমাত্র ছেলে স্বপন। গত ১২ বছর ধরে ইতালিতে থাকেন স্বপন। সেখানেই তাঁর ব্যবসা। কিন্তু ভিটেমাটির টান, সোনার বাংলার মাটির টান তিনি ভুলে যাননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্ধভক্ত ও তাঁর দল আওয়ামী লীগের কট্টর সমর্থক স্বপন কটিয়াদী উপজেলা প্রবাসী ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতিও। প্রতিটা ভোটে তিনি শহরের বাড়িতে ফেরেন ভোট দিতে। ইতালি থেকে প্রথমে ঢাকা, তারপর সড়ক বা রেলপথে এতদিন বাড়ি ফিরতেন স্বপন। এবারে সবাইকে চমকে দিয়ে বউ ছেলেমেয়ে নিয়ে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে স্বপন এলেন শহরে। আর আগে থেকেই তা জানতে পেরে সেই হেলিকপ্টার চড়ে পাড়ার ছেলে, ঘরের ছেলের প্রত্যাবর্তন দেখতে শয়ে শয়ে মানুষ ভিড় জমান মাঠে। বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ ঢাকা থেকে ভাড়া করা বেসরকারি সংস্থার হেলিকপ্টারে চড়ে স্বপন ফেরেন তাঁর নিজের শহরে। সঙ্গে তার বাবা মেনু মিয়া, বউ হোসনা আক্তার আর ছেলে বিজয়।
তারপরেই ফুল মালা দিয়ে বরণ করে কাঁধে চড়িয়ে স্বপনকে বাড়ি নিয়ে আসেন তাঁর পাড়ার লোকেরা। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্বপন জানান, ‘মূলত বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে আর সামনে নির্বাচনে ভোট দিতেই বাড়িতে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে হেলিকপ্টার করে বাড়ি এসেছি। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আমি বিভিন্ন সামাজিক কাজেও অংশ নিয়েছি। আগামীতেও মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।’