নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারও ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। পরিস্থিতি সামলাতে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল থেকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কী শ্রীলঙ্কার মতোই দশা হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের? শুক্রবার দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গোটা বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হলেও বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হবে না।’ তাঁর কথায়, ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক যথেষ্ট শক্তিশালী, তাই দেশবাসীদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।’
যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এদিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতিকে সভামঞ্চে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। মহাসমাবেশ ঘিরে বাংলাদেশের কাতারে কাতারে মানুষ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকা একেবারে মিছিলে মিছিলে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তবে বেলা আড়াইটায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও সকাল ৯টা থেকেই যুব নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন।
বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত মহা সমাবেশে যোগ দেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশে কোনও দুর্ভিক্ষ হবে না। তার জন্য আমাদের এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী। আমরা যুবদের কর্মসংস্থান দিয়েছি, বিএনপি হত্যা করেছে। অনেকে নাকি আমাদের উন্নয়ন চোখে দেখে না। চোখ থাকতে অন্ধ হলে দেখবে কী করে? আমরা কত যুবকের কর্মসংস্থান করেছি। আর জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া? সবই তো একই ইতিহাস। হাজার হাজার যুব নেতাদের হত্যা করেছেন। যুবলীগ আমাদের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অবস্থান আছে (অংশ নিয়েছে)। যুবক থাকলে কাজ করার অনেক সুবিধা। উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যুবদের সম্পৃক্ত করতে যুবলীগ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তরুণরাই পারে দেশকে গড়ে তুলতে।’