নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশ রেলওয়ে (Bangladesh Railway) আছে বাংলাদেশ রেলওয়েতে। কখনও মাঝপথে বগিতে আগুন লেগে যাচ্ছে, কখনও লেভেল ক্রসিংয়ে বাসকে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যাচ্ছে বগি। কখনও মাঝপথেই সিগন্যালের কারণে ঘণ্টার পর দাঁড়িয়ে থাকছে ট্রেন। কিন্তু সোমবার যা ঘটল, তা সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। বগি পেলে রেখে চলে গেল ট্রেন। আর বগিতে বসে থাকা শতাধিক যাত্রী চরম বিপাকে পড়লেন। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই রেল কর্তৃপক্ষের তরফে সাফাই দেওয়া হয়েছে, বগি যে খারাপ তা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে ওই বগিতে যাঁরা উঠে পড়েছিলেন, নিজের গন্তব্যে পৌঁছতে না পারার জন্য তাঁরাই দায়ী।
কী হয়েছিল এদিন? প্রতিদিন সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন (Kamalapur Railway Station) থেকে পঞ্চগড় (Panchgarh) পর্যন্ত যাতায়াত করে একতা এক্সপ্রেস (Ek0ta Express)। এদিন ওই ট্রেনের ‘ট’ বগিতে টিকিট কেটে বসেছিলেন ১০৫ যাত্রী। সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই বগি ফেলেই গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। চোখের সামনে ট্রেন ছেড়ে চলে যেতে দেখে বিস্ময়ে স্তম্ভিত হয়ে পড়েন ওই বগির যাত্রীরা। লাগেজ নিয়ে বগি ছেড়ে ওই ট্রেন ধরার সুযোগ পাননি কেউই।
এর পরেই ক্ষুব্ধ যাত্রীরা কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার (Station Master, Kamalapur) মাসুদ সারওয়ারের (Masud Sarwar) ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। স্টেশন মাস্টার ক্ষুব্ধ যাত্রীদের জানান, সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদই একতা এক্সপ্রেসের ‘ট’ বগিটি খারাপ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। অনেকেই সেই ঘোষণার পরে অন্য বগিতে উঠেছেন। কেন খারাপ বগির পরিবর্তে অন্য কোনও বগি দেওয়া হল না, জানতে চাওয়া হলে স্টেশন মাস্টার জানান, অতিরিক্ত কোনও বগি ছিল না।