নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়িয়ে দুই দিন করা হচ্ছে। শুক্রবার ও শনিবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকবে বলে শনিবার জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি (Dipu Moni)। সপ্তাহে দুদিন ছুটি চালু হওয়ায় পাঠ্যক্রম শেষ করতে ক্লাসের সময়সীমা বাড়ানো হবে নাকি সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হবে সে সম্পর্কে অবশ্য বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। স্কুলে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি চালু করায় পড়ুয়াদের মানসিক উদ্বেগ অনেকটাই হ্রাস পাবে বলে মনে করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা।
দেশে বর্তমানে ব্যাঙ্ক সহ সরকারি অফিসে সপ্তাহে দুদিন ছুটি চালু রয়েছে। পাশাপাশি অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েও সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন। তবে বেসরকারি অফিস ও প্রাথমিক থেকে কলেজ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র শুক্রবারই সাপ্তাহিক ছুটি। ২০২০ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। তার কারণ বর্তমানে একদিন সাপ্তাহিক ছুটি হলেও অন্যান্য ছুটি ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরে ক্লাস চলে ২১৫ দিন। শনিবার ছুটি হলে ক্লাস হবে ১৮৫ দিন। কারণ, বছরের বেশকিছু শনিবার সরকারি ছুটি থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়লেও শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে না বলে এনসিটিবির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল। উল্টে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়ায় শিক্ষার্থীদের উপরে শারীরিক ও মানসিক চাপ কমবে বলেও দাবি এনসিটিবি’র আধিকারিকদের।
এদিন এনসিটিবি’র নতুন কারিকুলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, এনসিটিবির প্রস্তাব মেনে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়ানো হচ্ছে। শুক্র ও শনিবার স্কুল বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি ২০২৪ সাল থেকে নবম শ্রেণিতে মানবিক-বাণিজ্য-বিজ্ঞান বিভাগ আর থাকছে না।’