নিজস্ব প্রতিনিধি: পয়লা বৈশাখের (POILA BOISHAKH) বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। তবে এখন সময় সোশ্যাল মিডিয়া সর্বস্ব। সবটাই কেমন যেন ‘দেখনদারি’। শুভেচ্ছাও ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, সিগন্যাল, টেলিগ্রাম ও ইনস্টাগ্রামে আটকে। এখন যেন ‘বিলুপ্ত প্রায়’ বাংলা ক্যালেন্ডার। তার জায়গায় ইংরেজি ক্যালেন্ডারের চল বেশি।
সোশ্যাল মিডিয়ার বাজারে যে কোনও ক্যালেন্ডারই পাওয়া যায় ভার্চুয়ালি। আবার বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো হয়, ‘হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার’ লিখে! বহু বাঙালিই তা করে থাকেন! এই তো অবস্থা। তাই পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই চল ও চাহিদা কমেছে বাংলা নতুন বছরের ক্যালেন্ডারের। তবু আশা নিয়ে পয়লা বৈশাখের আগে বিভিন্ন ধরনের ক্যালেন্ডারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। বরাত পেয়েছেন সামান্য। বিক্রি হয়েছে অতি অল্প। এভাবেই বুকে আশা নিয়ে আপাতত বৈশাখ মাস পর্যন্ত পসরা সাজিয়েই রাখতে চান তাঁরা। যদি কিছু বিক্রি হয়।
পয়লা বৈশাখ মানেই হালখাতা। সারা বছরের বকেয়া মিটিয়ে নতুন করে শুরু হয় ব্যবসা। হয় পুজো। মিষ্টির প্যাকেটের পাশাপাশি বাংলা ক্যালেন্ডার দেওয়ারও রীতিও মাত্র কয়েক বছর আগেও ছিল ব্যাপক ভাবে।
বিক্রেতাদের আক্ষেপ, আগের তুলনায় বিক্রি কমেছে বাংলা ক্যালেন্ডারের। হালখাতার সময়ে কিছু বিক্রি হয়, সেই আশা নিয়েই পসরা সাজানো। বিক্রেতাদের গলায় করুণ সুর, কেউ কিনতেই চান না। পড়ে পড়ে নষ্ট হয়।