নিজস্ব প্রতিনিধি: আর মাত্র ক’দিন। তারপরেই বাঙালির নতুন বছর। আগে পয়লা বৈশাখ (POILA BAISHAKH) মানেই ছিল হালখাতা। সেই বহুল পরিচিত ‘হালখাতা’ আজ ‘বিলুপ্ত প্রায়’। কমছে এই দিনে দোকানগুলি থেকে বাংলা ক্যালেন্ডার বিতরণ, মিষ্টির প্যাকেট উপহার দেওয়া। বাড়ছে শপিং মল, ডিজিটেলাইজেশনের দাপট। সবেই যেন কর্পোরেট থাবা। এতো বাংলার সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ!
হালখাতা মানে সারাবছরের হিসেব নিকেশের খাতা। যার প্রথম পাতার ওপরে লাল সিঁদুরে আঁকা থাকে স্বস্তিক চিহ্ণ বা সিঁদুরের ছাপে কয়েন। তবে সেই হালখাতা সংস্কৃতি বিলুপ্তপ্রায়। বঙ্গবাসীর অধিকাংশই ভুলে গিয়েছে পয়লা বৈশাখ মানে বঙ্গের ব্যবসায়ীদের নতুন আর্থিক বছরেরও সূচনা। এখন কম্পিটর, স্পেশ্যাল সফটওয়্যার, হার্ড ডিস্কে থাকে হিসেব। শপিংমলে আবার মিষ্টির প্যাকেট, বাংলা ক্যালেন্ডার, হালখাতা এসব চলে না।
অনেক দোকান অবশ্য আজও ঐতিহ্য টিকিয়ে রেখেছেন টিমটিম করে। তাঁদের আক্ষেপ, ক্রেতারাই উৎসাহ দেখান না হালখাতা নিয়ে। কেউ আসতেই চান না। হালখাতা যারা বিক্রি করতেন তাঁদের গলায় হতাশার সুর। তাঁরা জানাচ্ছেন, হালখাতা-খতিয়ান-জাবদা- সাপ্তাহিক বা মাসিক খাতা কিংবা কর্মচারীদের হিসেব রাখার খাতা বিক্রি আর প্রায় নেই। কেউ কিনতে চান না লাল কাপড়ের দড়ি দেওয়া খাতা। কেউ কেউ নিয়ম রক্ষার্থে পাটা বাঁধানো পাতলা হালখাতা কেনেন। কিন্তু এভাবে কতদিন? তারপর কি হারিয়েই যাবে এই ঐতিহ্য?