এই মুহূর্তে

বরাক দিবস ১৯ মে, দেশের মধ্যেই বাঙালিদের ‘মাতৃভাষার লড়াই’

ভাষা দিবস মানেই শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি নয়। ১৯ মে-ও ভাষা দিবস। স্বাধীন ভারতে মাতৃভাষা চেয়ে শহিদ হতে হয়েছিল ১১ জনকে। ১৯ মে বাঙালিদের কাছে কম আবেগের দিন নয়। শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে ভাষাপ্রেমীদের গুলি করে হত্যা করে অসম পুলিশ।

১৯৬০ সালে অসম প্রদেশ কংগ্রেস পরিচালিত সরকার অসমীয়া ভাষাকে একমাত্র দাফতরিক ভাষা হিসেবে মান্যতা দেয়। প্রতিবাদ করে গর্জে ওঠে বাঙালিরা। ভাষার অধিকারের দাবিতে সেই প্রতিবাদীদের ওপর অকথ্য আক্রমণ করা হয়। সময়টা ওই বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর। প্রায় ৫০ হাজার জন প্রাণ ও ভাষা বাঁচাতে চলে আসে পশ্চিমবঙ্গে। প্রায় ৯০ হাজার জন পালিয়ে আসেন বরাক উপত্যকা (Barak Valley) ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। ১০ অক্টোবর অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিমলা প্রসাদ চহিলা অসমের একমাত্র সরকারি ভাষা হিসেবে অসমীয়াকে মান্যতা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। ২৪ অক্টোবর তা গৃহীত হয় বিধানসভায়।

প্রতিবাদ জানিয়ে ১৯৬১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় কাছাড় গণসংগ্রাম পরিষদ। আ৪ এপ্রিল তাঁরা পালন করেন সংকল্প দিবস। ২৪ এপ্রিল করা হয় দীর্ঘ পদযাত্রা। ২ মে এই সত্যাগ্রহ পদযাত্রা শেষ হয়। পদযাত্রা করা হয়েছিল প্রায় ২০০ মাইল। ১৩ এপ্রিল বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা না করা হলে ১৯ মে হরতালের ডাক দেন নেতা রবীন্দ্রনাথ সেন। এরপরে ১২ মে বাহিনী শিলচরে ফ্ল্যাগ মার্চ করে। কড়া বুটের নিয়মিত অভিযানের পরেও পুলিশ পরিষদের ৩ নেতৃত্বকে গ্রেফতার করে। তাঁরা ভাষাপ্রেমী রবীন্দ্রনাথ সেন, বিধুভূষণ চৌধুরী এবং নলিনীকান্ত দাস।

১৯ মে শুরু হয় আন্দোলনকারীদের হরতাল, পিকেটিং। সরকারি দফতর, আদালত, স্টেশন ঘিরে ফেলা হয়। শিলচর স্টেশনে চলে সত্যাগ্রহ। দুপুরে পুলিশ শুরু করে লাঠি চার্জ। সেই সঙ্গে চলতে থাকে বন্দুক দিয়ে মার। এরপর চলে ১৭ রাউন্ড গুলি। ১২ জন আন্দোলনকারীর গুলি লাগে। এরমধ্যে ৯ জন মৃত্যু বরণ করেন। পরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আরও ২ জন। এই দিনটি বরাক দিবস হিসেবে পালিত হয়। ভাষা আন্দোলনকে (Bengali Language Movement) স্মরণে রেখে জানানো হয় শ্রদ্ধা।

হত্যাকাণ্ডের পরের দিন ২০ মে আন্দোলনকারীরা শোকমিছিল করেন শহিদদের দেহ নিয়ে। এরপরেই অসম সরকার বাংলাকে সরকারি ভাষার মান্যতা দিতে বাধ্য হয়।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গন ভাইফোঁটার পরিকল্পনা নিয়েছে বসিরহাটের ‘নবোদয় সংঘ’

বনগাঁ থানার এবারের কালীপুজোর থিম ‘ কৈলাস পর্বতে মহাদেব’

বাঁকুড়ার সাঁতরা বাড়ির “বড় বৌমা” পূজিত হলেন মা কালীর রূপে

নৈহাটির বড়মার পুজোয় ভক্তদের ভিড়

তারাপীঠে সারারাত খোলা থাকছে গর্ভ গৃহের দরজা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন উপবাস, নিজের হাতে রান্না করলেন ভোগ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর