নিজস্ব প্রতিনিধি: কালী পুজোর খুব বেশি দেরী নেই। কালী (KALI) দেবী নিয়ে আমরা সবাই কমবেশি জানি। চিনি কৃষ্ণ দেবকেও। কৃষ্ণকালীর কথা শুনেছেন অনেকেই। যিনিই কৃষ্ণ, তিনিই কালী। কৃষ্ণকালীর কথা জানেন কি?
কালী ঠাকুরকে বলা হয় শাক্তদের উপাস্য। আর কৃষ্ণের উপাসক বৈষ্ণবরা। তবে কৃষ্ণকালীর আরাধনা করেন বৈষ্ণব এবং শাক্ত উভয়’ই। এই রূপ কৃষ্ণ এবং কালীর একত্র রূপ। অর্ধনারীশ্বর।
কী করে কৃষ্ণকালী? রাধা ও কৃষ্ণের নৌকা বিহারের সময় তাঁদের দেখে ফেলেছিলেন জটিলা এবং কুটিলা। এরপরেই রাধার স্বামী আয়ানকে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। সব শুনে কালী উপাসক আয়ান ছুটে গিয়েছিলেন ওই জায়গায়। আর তখনই কালী রূপ ধারন করেছিলেন বংশীধর। নিজের উপাস্যকে দেখতে পেয়ে একই সঙ্গে ভীত এবং আপ্লুত হয়েছিলেন আয়ান। এই অর্ধনারীশ্বর চতুর্ভূজা। প্রসঙ্গত মহাভারতে কৃষ্ণই বলেছিলেন, তিনিই কাল। আবার কোথাও বলা আছে কালীর পুরুষ অবতার কৃষ্ণ।
কালী থেকেই সৃষ্টি মহাকাল। আবার কালীর দূত কাল (মহাদেব)। দেবাদিদেবের জন্ম কালী থেকেই। আবার কালী’র সতী রূপকে স্ত্রী হিসেবে বরণ করেছিলেন মহাদেব। আবার কৃষ্ণও সর্বশক্তিমান। বিভিন্ন মতে, কোথাও ঈশ্বরের বহু রূপ। কোথাও তিনি নিরাকার। আবার কোথাও বা সাকার। বলা হয়েছে, একেশ্বরবাদের কথাও।